একটু ঘুমোবো আমি। শান্তির ঘুম আসো দুই চোখে।
রাত জেগে জেগে বড়ো ক্লান্ত।ঘুমঘোরে দিবালোকে।
দিন শেষে রাত আসে, রাত শেষে দিন আসে পুনরায়।
দিনরাত একইভাবে তপস্যায় থাকা। একই সাধনায়
জীবনপাত হলো। বৃথা হলো সকল সুরের সাধনা।
জন্ম জন্মান্তরের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো। সব আরাধনা
বিফলে আজ।ভরসা নেই কোনো। নেই কোনো আশা।
উন্মাদনা ছড়াতে পারে না দৃষ্টি।আমার ভালোবাসা
মুর্ত হবে না আর অন্য কারো হৃদয়বেদীতে কোনোদিন।
আমার এই বিসর্জনের মাঝে কেউ হবে না বিলীন।
এ জনমে নয়। হয়নি আগেও কখনো। পরেও হবে না।
আমি শোধ করে দিয়ে যাবো সকলের সব লেনাদেনা।
একটা হৃদয় আমাকে দেবে না কেউ কোনোদিনও।
আমার উষ্ণ ভালোবাসা উত্তাপ ছড়ালো না কোনো।
গানে গানে এতো সুর ঢেলে; ছন্দ তুলেও কবিতায়
পারিনি ভোলাতে কারো মন। শিল্পীর শিল্প সাধনায়
সঙ্গী হলো না কেউ। বড়ো একা একা লাগে আজ।
আমার যতোকিছু সৃষ্টি, যা কিছু কথার কারুকাজ
কেউ রাখবে না ধরে; হারিয়ে যাবে সময়ের সাথে।
হিসেবের খাতায় শুন্যই শুধু রবে দিনশেষে। রাতে
অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে যাবে পূর্ণিমারই চাঁদ।
আজ আমার কেটে গেছে সব মোহ। ধৈর্যের বাঁধ
ভেঙ্গে গেছে। আমি ঘুমিয়ে কাটাতে চাই অনন্তকাল।
নাই বা দেখা হলো আর সুর্য উঠা, সোনালী সকাল।


রচনাকাল: ঢাকা, ২০ নভেম্বর ২০১৮