দূরের আকাশ থেকে,
থেকে থেকে,
কতো নক্ষত্র, কতো তারা নীরবে ঝরে!
শুধু দেখে যাও চুুপ করে,
সবি।
হে কবি,
নীরব রহো।
যতো দুঃখ-শোক-তাপ অন্তরে বহো;
বলো না, বলো না আর মুখ ফোটে কিছু।
আলেয়ার পিছু পিছু
ছুটেছো অনেক; ক্ষণিক দাঁড়াও।
দুহাত উঁচু করে শূণ্যে বাড়াও।
অমাবস্যার রাতে আকাশের পানে চেয়ে দেখো
আর শেখো।
বিশাল এ মহাবিশ্বে সৃষ্টির সুখের উল্লাসে
প্রকৃতি প্রতিনিয়ত হাসে।
কখনো জোছনা হয়ে ঝরে,
কখনোবা নেমে আসে বৃষ্টির মতো করে,
এই পৃথিবীতে
কিছু দিতে।


তেমনি তোমার এখনই সময়;
প্রশস্ত করে নাও ভগ্ন হৃদয়।
ছেড়ে দাও পিছুটান,
ভুলে যাও সব মান অভিমান।
এই পৃথিবীকে ভালোবেসে
হেসে হেসে
কল্যাণকর কিছু করে যাও;
মানুষেরই মাঝে থেকে মানুষকে কিছু দাও।
প্রকৃতিকে ভালোবাসো;
তারই মতো কাঁদো হাসো।
দেখবে,
তোমার জীবনও ফুলের মতোই হবে।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০