গৃহেই থাকো গৃহলক্ষ্মী,
গন্ডির বাইরে বেরুতে পারো না।
সাত পদ রান্না করতে পারো, পাতে তুলে দিতে পারো না।
বানাতে পারো কাঁচা আমের আচার, আমসত্ত্ব, চালকুমড়োর মোরব্বা।
বৈয়ামে তুলে রাখো।
ডাইনিং টেবিলের শোভা বাড়ায়।
প্লেটের কোনায় বেড়ে দেওয়ার সময় পাও না তুমি।
ইচ্ছে হলে নিয়ে খাই।
নইলে পড়েই থাকে অনেকদিন।
সুগন্ধি চালের পায়েশ রাঁধো যত্ন করে।
পোলাও, রোস্ট, রেজালা, বিরিয়ানি কিংবা কাবাব।
কতো রকমের রান্না জানো তুমি।
শুধু পরিবেশনের আর্টটাই তোমার জানা নেই।
অসুস্থ হলে স্যুপ বানিয়ে দাও।
বেলের শরবত।
নরম ভাত কিংবা মশলাছাড়া শিং মাছের ঝোল।
কিন্তু পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার সময় নেই তোমার।


কতো কিছু সামলাতে হয়!
ছেলে কি খাবে?
মেয়ের বায়না মেটানো।
শশুর-শাশুড়ির খোঁজখবর রাখা।
কাপড়চোপড় কাচা, গৃহকর্মীর কাজ তদারকি।
আরো কতো কিছু।
নিজের খেয়ালই রাখতে পারো না।
মাথা ব্যথা হলে কাউকেই বলো না।
শরীর খারাপ হলে বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত কই!
সংসারের ঘানি টানতেইতো দিন কাবার।
রাতে বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরানো।
অঘোরে ঘুমিয়ে পড়া, নাক ডেকে।
এপাশ ওপাশ ফিরো।
স্বপ্ন দেখো হয়তোবা। দুঃস্বপ্ন?


আমার চাওয়াপাওয়া দীর্ঘনিশ্বাসেই ঘুরপাক খায়।
এটুকুই শান্তনা, সংসারকে আঁকড়ে রেখেছো।
তুমি ছাড়া আমাদের এই সংসার অর্থহীন, অসার।


রচনাকাল: ঢাকা, ০২ নভেম্বর ২০১৮