হেমলক যে করেছে পান, সেতো মরবেই।
মৃত্যু পথযাত্রীর শেষ ডায়ালগ যাই হোক, তার নিস্তার নেই।
নিস্তেজ হয়ে যাবে সে একটু পরেই,
হারিয়ে যাবে তার সমস্ত অনূভুতি।
প্রেম, ভালোবাসা কিংবা প্রবঞ্চনার কোনো স্মৃতিই আর ভাসবে না চোখের সম্মুখে।
ভুলে যাবে, আলো আর আঁধারীর এই পৃথিবীতে সেও একদিন ছিলো।
অনন্ত যাত্রার পথে খুঁজতে যাবে না আর সেই রমনীকে, একদা যে সবচেয়ে প্রিয় ছিলো তার।
দেখতে যাবে না আর পূর্ণিমার চাঁদ, রূপালী জোছনা অথবা থইথই ঢেউতোলা বর্ষার ভরা নদী।
জানতে চাবে না ফিরে, শীতের নির্জন রাতে কেনো ঝরে পড়েছিলো শিউলী ফুল;
কিংবা বকুল ফুটেছে কিনা ঝুম বৃষ্টিতে বর্ষার আবাহনে।
অমাবস্যার অন্ধকারে নক্ষত্রেরা উঠেছে কিনা জেগে, দেখতে সে হবে না উৎসুক।
নিজ হাতে যে করেছে পান হেমলক অমৃত ভেবে,
ভুলের মাশুল তাকেই দিয়ে যেতে হবে।
এই অস্থির পৃথিবীতে পড়ে রবে স্থির হয়ে প্রাণহীন।
দেখতে পাবে না, কেউ ফেলেছিলো কিনা দুফোটা অশ্রুজল তার শেষ যাত্রার কালে।


রচনাকাল: ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০১০