কিছুতো বল'।
আজকে শুধু তোমার সোনামুখ দেখতে আসিনি।
রোজ রোজ আড়ালে আবডালে থেকে তোমাকে দেখি।
তুমিও আকাশ দেখার ছলে চোখ রাখো আমার চারতলার ফ্ল্যাটের কার্নিসে।
সুর্য কতোটা পশ্চিমে হেলে পড়েছে তা দেখার উছিলায় বারবার পশ্চিমের বারান্দায় আসো।
আমি তখোন পুবের অলিন্দের টবে লাগানো সদ্য কিনে আনা লাল গোলাপের চারাটির পরিচর্যায় ব্যস্ত।
তুমি দুদিনেই বুঝে গেছো এটি আমার বারান্দায় ঘুরঘুর করার অজুহাত মাত্র।
আমি যখোন টবে পানি ঢালি তখোন তুমি আড়চোখে চেয়ে দেখো আর মুখ টিপে হাসো।
ভাবটা এমোন যেনো দিনের বেলায় আকাশের এদিকটায় তারা গুনছো।
আমি রাস্তার পশ্চিমপাশে চারতলায় আর তুমি ওপাশে তিনতলায়।
আমার নীচে তাকাতে সমস্যা নেই।
তোমার সুর্যের হেলে যাওয়া আর আকাশে তারা গোনা ছাড়া উপায় কি!
অতঃপর সন্ধি।
সন্ধ্যায় ছাদে যাবো।
ইঙ্গিতে প্রস্তাবটা আমিই দিই সাহস করে।
তুমিও চোখ টিপে সায় দিলে।


ছাদেতো এলুম। তুমিও।
চোখের ইশারায় যেনো বললে, এবার বল' কি বলবে।
পায়চারী করছো যেনো হাঁটতেই ছাদে উঠেছো।
স্লিম হতে হবে কিনা তাই!
ঠোঁট কাঁপিয়ে অস্ফুটে বললাম, 'কিছুতো বল'।'
ডানবামে মাথা নাড়লে আর মুখ টিপে হাসলে।
যা বুঝার বুঝে নিলাম।
একটি লাল গোলাপ এনেছিলাম সাথে করে।
ছুড়ে মারলাম জোরে।
ভাগ্যিস নীচে পড়েনি।
আচমকা কুড়িয়ে নিয়ে দিলে দৌড়।
রাতে তোমার জানালায় এক অনিন্দ্য সুন্দরী নারীকে দেখলাম।
তার খোঁপায় আমার সেই  লাল গোলাপ।
সেদিন থেকে আমার স্বপ্ন দেখা শুরু।
তোমারও।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০১৮