অনেকবারই 'ভালোবাসা'র কথা বলেছো।
দেখতে কেমন? তুমি কি দেখেছো?
কেউ দেখেছে বলে আমার জানা নেই।
তাই বলে ভালোবাসতে মানা নেই।
এটা অনুভূতিরই বিষয়।
মানবে নিশ্চয়।
মুখে নাহয় নাই বললে,' ভালোবাসি।'
কাউকে এটি বলতে শুনলে আমি হাসি।
ইচ্ছে হলে ভালোবেসো।
অনুভবের দরজায় তাকে নিয়ে এসো।
তাহলেই বুঝতে পারবো ভালোবাসো কিনা।
ভালোবাসার উল্টো পিঠেই থাকে ঘৃণা।
বারো মাসে ছয় ঋতুতে প্রকৃতি যেমন বদলে যায়।
তেমনি সময়ে অসময়ে ভালোবাসারও রং বদলায়।
বসন্তে বসন্ত বিলাস। অতঃপর গ্রীষ্মের ঝড়োহাওয়া।
বর্ষায় অঝোর ধারায় জমাট বাঁধা কালো মেঘের ঝরে যাওয়া।
কতো দেখলাম চেয়ে চেয়ে চারধারে।
ভিতরের কষ্টগুলো কেউ দেখতে পারে?
শরতের আকাশ অনেকটাই বুঝা যায় না;
এই রোদ, এই বৃষ্টি। বাইরে পা ফেলতে মন চায় না।
তুমি ডাকলে আমি ঠিকই যাই।
হয়তো কোথাও থেকে নির্ভরতা পাই!
হেমন্তে নীল আকাশ, পেঁজা পেঁজা সাদা মেঘ।
তোমার মন থাকে ফুরফুরে, চোখে-মুখে আবেগ।
নিশ্চিন্ত হই।
তুমি হাত বাড়ালেই বুঝি আমি একা নই।
এরপর বসন্ত আসবে আবার।
মিলনে মিলনে দুজনে হয়ে যাবো একাকার।
হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট, তোমার অধরে সুখের অসুখ।
তোমার পীনোন্নত বুকে আমার লোমশ বুক।
ডুবে যাওয়া অতল সাগরে।
হারিয়ে যাওয়া কোনো স্বপ্ন সরোবরে।
এরপর জেগে উঠা।
সময়ের হাত ধরে ছুটা।
গ্রীষ্মের তাপদাহে পুড়ে যাওয়ার ভয়।
তোমাকেও তাড়া করে নিশ্চয়।
তবুও দুজনে দুজনারই আছি।
আনন্দ-বেদনায় থাকি কাছাকাছি।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৪ নভেম্বর ২০১৮