কৈশোরে সেই কবে পাড়ার সমবয়েসী বন্ধুরা
বাহির বাড়ির উঠোনে বা মাঠে দল বেঁধে খেলতাম।
কতো রকমের খেলা।
কচি বাতাবী লেবুর ফুটবল। হা-ডু-ডু। গোল্লাছুট।
ওগুলো কমন। কিছু আনকমন।


হাসা-মাঞ্জুল- কচুর মুখী ছুড়ে মারা।
যে খুঁজে পাবে সেই জিতবে।
শর্ত আছে। হাসা যাবে না।
না হেসেই নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পৌঁছুতে হবে।
সবাইর তখোন হাসানোর চেষ্টা।
হাসলেই হেরে যাওয়া।
পারা-মাঞ্জুল- একই রকমের।
তবে অন্যদের সুযোগ থাকে জোর করে কচুর মুখী কেড়ে নেয়ার।
এগুলো ছেলেদের খেলা।
মেয়েদেরও ভিন্ন খেলা ছিলো।
ছেলেমেয়েরা মিলে খেলতাম কানামাছি ভোঁ ভোঁ।
চোখে কাপড় বেঁধে যে কাউকে  ছুঁয়ে ফেলা।
এ খেলাটি এখনো সবার পছন্দের।


হাসা-মাঞ্জুল খেলতে গিয়ে আমি কখনো হাসি নি হেরে যাবো বলে।
পারা-মাঞ্জুলে কেউ আমার হাতের মুঠো থেকে  
জোর করে কেড়ে নিতে পারে নি কচুর মুখী।
কানামাছি খেলায় শুধু তোমাকে ছুঁতে চেয়েছি।


সেই তুমি হারিয়ে গেলে!
আমার হাসি একেবারেই থেমে গেলো।
অজান্তেই আমার হাতের মুঠো খুলে গেলো।
আমি খেলতে থাকলাম কানামাছি ভোঁ ভোঁ-
তোমাকে ছুঁবো বলে!
অনন্তকাল এ খেলা চলবে।
নিরন্তর.....


রচনাকাল: ঢাকা, ১০ অক্টোবর ২০১৮