যতোদিন বেঁচে আছি
মানুষের কাছাকাছি
থেকে;
দেখে
যাই শুধু আত্মকেন্দ্রিকতা, হিংসা, প্রতিহিংসার প্রত্যক্ষ নমুনা।
ব্রহ্মপুত্র, যমুনা
কিংবা মেঘনার জলে খেলা করা মাছ
অথবা এই পৃথিবীর হাজারো জীবজন্তু, তৃণ, গুল্মলতা, গাছ
কখনো করে না এমন।
মানুষের মন
এতোটা নীচে নামে কেনো;
যেনো
সরীসৃপ লম্বা জিব বের করে খুঁজে ফিরে আহার!
বাইরেই পোষাক আর পরিচ্ছদের বাহার;
ভিতরে ভিতরে থাকে নগ্ন লোভ।
সবকিছু লুটে নিতে চায় নিজের অধিকারে; বিক্ষোভ
প্রকাশ হতে দেখি মাঝেমাঝে কিছু ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের।
ঢের
প্রাণবন্ত কিছু লোক আছে বটে;
অকপটে
নিজের চরিত্রের করে বিশ্লেষণ।
আপনজন
অথবা অচেনা মানুষের, সকল উদ্ভিদ আর প্রাণীর কল্যাণকামী;
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী
জিনিসটাও নেবে না জোর করে।
দাও যদিও হাতে ধরে
ছুঁয়েও দেখবে না;
সমাজ আর প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে করে যায় সব লেনাদেনা।
সংখ্যায় নগন্য তারা;
আকাশের নক্ষত্রের মতোই খুবই কম। অসংখ্য তারা
আকাশের বাতি হয়ে থাকে;
মানুষ থাকে না তেমন। এই পৃথিবীর আলো আর বাতাস তাদের বাঁচিয়ে রাখে;
কিন্তু তারা কৃতজ্ঞ নয়।
ক্ষয় আর অবক্ষয়
হতে থাকে প্রকৃতির সব ভালো আয়োজন।
মানুষের নিজের প্রয়োজন
কিংবা আরাম-আয়েশ আর সভ্যতার নামে
তাদেরই তৈরি আজ বৈরী পরিবেশ;
এবং বিপন্ন প্রতিবেশ।


অথচ এই মানুষেরা
দাবী করে তারাই শ্রেষ্ঠ জীব, সৃষ্টির সেরা।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০২১।