কবিদের পাশে নাম লিখাতে
বরাবরই ছিলো বড়ো ইচ্ছে।
আসতো না লিখবার মুড।
বড়দের বলতাম শিখাতে;
জানাতেন নিজেদেরই কিচ্ছে।
লিখা দেখে বলতেন,'গুড'।


ছাইপাশ লিখে খাতা ভরাতাম;
আমি, তুমি,পাখি, নদী, ফুল, বন।
প্রতিদিনই ক্লাশে ব্যাক-বেঞ্চার।
মেয়েদের দিকে শুধু তাকাতাম।
দিয়ে দিতে চাইতাম এই মন;
চোখেমুখে খুঁজতাম এ্যানসার।


বন্ধুরা বলতো,' তুই লিখে যাস্।'
ক্লাসের মেয়েরা হেসে,' গুডবয়।'
এভাবেই লেখালেখি শুরু।
বাংলার স্যার ক'ন,' সাব্বাস্।
লিখবে না শুধু, করো এন্জয়।
পড়ো নজরুল- কবিগুরু।'


পড়াশোনা শেষে ঢুকি অফিসে;
নানান কাজে থাকি ব্যস্ত।
দিনরাত করি শুধু টেনশন।
কবিতা হারিয়ে ফেলে দিশে।
অতঃপর সংসারে ন্যস্ত।
আজ অবসরে, পাই পেনশন।


আগের সে মন আজ পাবো কই?
অতীতের মাঝে করি বিচরণ।
সময়ের সাথে করি এডজাস্ট।
কোথা থেকে এলে তুমি, বল' সই?
ফিরে এলো দেহ-মনে শিহরন!
কবিতা হবেই হবে। মাস্ট।


গত মাসে আঠারোটা রচনা,
তার আগে গতি ছিলো স্লো।
এই মাসে সাঁইত্রিশ হলো।
কে গো তুমি মায়াবিনী ললনা,
এনে দিলে কবিতার ফ্লো!
হাতে ধরে সাথে নিয়ে চলো।


রচনাকাল: ঢাকা, ৩১ অক্টোবর ২০১৮