দিনক্ষণ মনে রেখো, লিখে রেখো বুকে;
বসেছিলো বৃদ্ধ এক তোমার সম্মুখে।
প্রস্ফুটিত গোলাপের কুঁড়ি নিয়ে হাতে
হাঁটু গেড়ে বসেছিলো পূর্ণিমা রাতে।
জোছনা ছড়ানো ছিলো, নির্মেঘ আকাশ;
মৃদু লয়ে বয়েছিলো দক্ষিণা বাতাস।


তার দুই চোখে ছিলো দুরন্ত আবেগ;
তোমার হরিণী চোখে ছিলো উদ্বেগ।
ষোড়শী কিশোরী নও, যৌবনা যুবতী;
বৃদ্ধ এক প্রেম চায়, অস্থিরমতি!
তবুও থেকেছো স্থির, তাকিয়ে দেখেছো;
তার দুই চোখপানে সুদৃষ্টি রেখেছো।


খুঁজেছো অমূল্য কিছু তার দুই চোখে?
পাথর মূর্তি এক দাঁড়ানো সম্মুখে!
সাহসী বিনয়ী এক বৃদ্ধ প্রেমাতুর;
কী করে তুলতে পারে বংশীতে সুর!
করো নি বাক্যব্যয়, কোনো আস্ফালন;
করো নি তো ঘৃণা তারে, করেছো আপন।


তুলে নিয়েছিলে হাতে তার সেই ফুল;
গোলাপের সুঘ্রাণে হয়েছো আকুল।
তার নতজানু দেহ বাঁধো বাহুডোরে;
দীর্ঘ আলিঙ্গনপাশে চেপে রেখে জোরে।
মনে মন দেহে দেহ রেখেছিলে দোহে;
ভালোবেসে কিংবা শুধু ক্ষণিকের মোহে!


ক্ষণিকের মোহ নয় প্রেম ভালোবাসা;
মনের গভীরে তার নিত্য যাওয়া-আসা।
সেই বৃদ্ধ চলে যাবে অগ্রে দূরদেশে;
তুমি রবে পৃথিবীতে কেঁদে কিংবা হেসে।
মনে রেখো, মনে রেখো স্থান-দিন-ক্ষণ;
স্মৃতির অলিন্দে তাকে রেখো আমরণ।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৮ আগস্ট ২০২০