নির্মোহ ভালোবাসা কে দিয়েছে কবে?
আমাকেই সে মাশুল দিয়ে যেতে হবে !
শৈশবে খেলাচ্ছলে দিয়েছিলো মালা।
যৌবনে সেই ঋণ শোধবার পালা!-
অদ্ভুত দাবি নিয়ে যখোন তখোন
মনের দুয়ারে এসে করে জ্বালাতন।
সময়-অসময় নেই- নেই দিনরাত।
সেই আমি এই আমি অনেক তফাত।


যেদিন চলে আসি বাবা-মার সাথে
একটি পুতুল শুধু দিয়েছিলো হাতে।
রেখেছি যত্ন করে, হারাইনি আজো।
নষ্ট হয়নি শাড়ির এতোটুকু ভাঁজও।
পুতুল তেমনি আছে, আমি বদলেছি।
ছোট্ট ছেলেটি আজ বড় হয়ে গেছি।


মনের ভেতরে আজো তারই ছবি ভাসে।
ছায়া হয়ে সর্বদা থাকে চারপাশে।
স্বপ্নেরা তাকে ঘিরে কতো জাল বুনে!
কোথায় খুঁজবো তাকে, কোন্ গৃহকোণে?


রচনাকাল: ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০১৮