প্রতিদিন নরবলি হবে!
প্রতিদিন রক্ত ঝরবে!
প্রতিটি রাত শেষে একটি মস্তক খন্ডিত হয়ে মাটিতে লুটাবে!
তোমার পায়ের কাছে গড়াগড়ি যাবে !
চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে
একজন করে পুরুষ প্রতি রাতে
তোমার কামনার স্বর্ণ মন্দিরে!


গভীর বনের দূর্গম অঞ্চলে গড়েছো মন্দির।
সেখানে সন্ধ্যায় তোমার পাদপ্রদীপ
তেজদীপ্ত আলোর বিকিরণ ছড়ায়
ধ্রুব নক্ষত্রের মতো।
বহু দুরের মানুষও তা দেখতে পায়।
সাহসী পুরুষকে করে আকর্ষণ।
বনের প্রান্ত ঘেঁষা লোকালয় পেরিয়ে
আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে
অবশেষে পৌঁছায় সেই স্বর্ণ মন্দিরে।


তোমার কথামতো সন্নিহিত পুকুরে নেমে
স্নান সেরে পবিত্র হয়।
তুলে আনে রক্ত কমল।
চোখ বুঁজে তোমার বেদীমূলে করে নিবেদন।
তুমি তাকে জড়িয়ে ধর গভীর আবেগে।
কামতৃষ্ণায় জর্জরিত।
সারা রাত কেটে যায়।
ভোগ কর তাকে।


তারপর কিছুই জানে না পুরুষ !
প্রত্যুষে তার দ্বিখণ্ডিত দেহ লুটিয়ে পড়ে তোমার সম্মুখে।
শান্তির নীরবতা !
তোমার চোখে তখোন রাজ্যের ঘুম।


রচনাকাল: ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০১৮