শুনেছি গর্জন সমুদ্রের;
ঢের ঢের
বেশি শব্দ করে অথবা নীরবে এগিয়ে আসতে পারে মৃত্যুর দূত অকস্মাৎ।
হঠাৎ
হারিয়েও যেতে পারি এই পৃথিবীর সবকিছু ফেলে;
পশ্চাতে ঠেলে
সকলের ভালোবাসা-ঘৃণা।
পারি কিনা
ভবিতব্য জানে।
কবে কোনখানে
কিসের মমতায় বাঁধা পড়ে এতোদিন এখানে রয়েছি।
সয়েছি
ঝড়ঝঞ্ঝার হাজারো ডামাডোল;
শত কোলাহল কলরোল
কর্ণকুহরে বিদ্ধ হয়ে আছে।
দূরে অথবা কাছে
কতো বন্ধু, কতো প্রিয়জন;
বনারণ্যে পাখির কূজন,
পাপড়িমেলানো অথবা অস্ফুটিত ফুল বাগানে বাগানে;
সেখানে কতো অলি প্রজাপতি খেলা করে হৃদয়ের টানে।


এই পৃথিবীতে
কিছু নিতে আর কিছু দিতে
চেয়েছি হাজার বার।
অধিকার
দিয়েছি ছেড়ে;
কখনো বা জোর করে নিয়েছি কেড়ে
যতোটা পাবার ছিলো, কম কিংবা বেশি।
আজ ক্ষয়িষ্ণু যৌবন, দূর্বল পেশী;
তবুও তৃষ্ণা রয়ে গেছে ভোগলিপ্সার।
রয়েছে পাওয়া আর না পাওয়ার অতৃপ্তি, হাহাকার।
তারপরও ভাবি,
আমার এই ঘরের চাবি
একজন নিয়ে যাবে এসে;
অকস্মাৎ অবশেষে।


রচনাকাল: ঢাকা, ৩১ অক্টোবর ২০২১।