হে বহুবল্লভা নারী, আমাকে পরাস্ত করেছো তুমি;
বাহুলগ্না করেছো নানান আসনে, নানা ছলনায়।
অশান্ত মনের দুর্বল মুহুর্তটিকে করেছো ব্যবহার।
তোমার দেহমদিরার হলাহল আকন্ঠ করেছি পান।
কী আনন্দে ভেসেছি আঙ্গুল চালাতে চালাতে তোমার শরীরের বাঁকে বাঁকে, আনাচে-কানাচে!
ফ্রি স্টাইলে সাঁতার কেটেছি যেনো কোনো সুইমিং পুলে, অলিম্পিকের নগ্ন আসরে।
আহা, কী প্রাণবন্ত ছিলে!
ক্লিওপেট্রাও কি ছিলেন এমন?
ট্রয় নগরী পুড়ে হলো ছাই, থামেনি নীরোর বাঁশী।
তুমি কাকে পুড়ালে যত্ন করে এমন যৌনতার স্ফুলিঙ্গে?
আমার প্রেমিক স্বত্তার হলো বিসর্জন তোমার ছলাকলার নানা উপাচারে ডুবে।
আমার মননের রক্তমাখা মাথা লুটিয়ে পড়লো তোমার কামনার যুপকাঠে।
আমিও কি তৃপ্ত ছিলাম না তখন?
ছিলামইতো।
মনোবৈকল্যে সাময়িক নেশায় হারিয়েছি পরম ধন, ভালোবাসার ধ্রুপদী নিক্কণ।
অনেক পুরুষই মজেছে তোমার প্রেমে আমারই মতোন, মেতেছে সম্ভোগে।
নিঃস্ব হয়েছে শেষে, পারেনি নির্বিষ হতে।
ভোগ করে যাবো আজীবন এ দহন জ্বালা,
মৃত্যুর পরেও হয়তোবা আত্মার প্রায়শ্চিত্ত রবে বহমান।


রচনাকাল: ঢাকা, ১২ জানুয়ারি ২০১৯