ছোট বউ, 'বড়'র উপরে কেনো তোর এতো আক্রোশ?
তার উপর কেনো চড়াও হোস্?
তুই তো ছিলিনে তখন, যখন সে এসেছিলো আমার জীবনে।
চোখের দৃষ্টি ছিলো প্রখর, ধার ছিলো রক্তে সেই ভরা যৌবনে।
বসন্তও এসেছিলো।
আমার চারপাশে অসংখ্য ফুলের মেলা বসেছিলো।
সেখানকারই একটি ফুল সদ্য প্রস্ফুটিত,
আমার হৃদয়ে শান্তি এনে দিতো।
বলা নেই কওয়া নেই, নিয়ে আসি ঘরে।
তার জন্ম হয়েছিলো অন্য কারো তরে।
যখন বুঝেছি তখন সুযোগ ছিলো না আর
আগের জীবনে ফিরে যাবার।
ভালোবাসাহীন, প্রীতিহীন জীবনযাপন সেই থেকে শুরু।
উড়ুউড়ু
মন নিয়ে করে গেছে সংসারের যাবতীয় কাজ।
খেয়াল রেখেছে আমার, দেখতে দিয়েছে খুলে শরীরের ভাঁজ।
সন্তান ঘরে এলো, পেলো যেন আকাশের চাঁদ!
তাকে নিয়ে মেতে থাকে, ব্যস্ত থাকে, মেটায় সাধ-আহ্লাদ।
সন্তানের যত্নআত্তি করে তার কাটে রাতদিন।
আমিও করে যাই দায়িত্ব যা আছে সংসারে দৈনন্দিন।
প্রেম-ভালোবাসাহীন মনুষ্যজীবন চাইনি কখনো, দগ্ধ হয়েছি  সারাবেলা।
দূরত্ব বাড়তে থাকে দুজনের, সংসারের নির্মম এ খেলা।


এরই মাঝে তুই এলি আমার জীবনে ঝড়েরই বেগে
শান্তির বারতা নিয়ে। আমার আবেগে
সুখের অনুভূতি ঢেলে দিলি মায়া-মমতায়
আমাকে জড়িয়ে নিলি নিখাদ ভালোবাসায়
সবকিছু জেনেও আমাকে করলি গ্রহণ।
তুই আমাকে নিয়েই থাক্, 'বড়'কে চলতে দে তারই মতোন।
একই সংসারে আমরা করি বসবাস।
সুখের আকাঙ্ক্ষায় থাকি। সাথে থাকুক না কিছুটা দীর্ঘশ্বাস।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮