প্রখর সূর্যালোকে,
নিস্তরঙ্গ তীব্র রোদ মেখে ক্লান্তিভরা চোখে,
স্মৃতি বিস্মৃতি ঘেটে ঘেটে,
এই পৃথিবীর পথে পথে হেঁটে,
চলেছি অনেক দূর।


আনন্দে ভরপুর
তোমার বাড়ির উঠোনে কতো ফুল; শেফালী ঝরে আছে গাছেরই গোড়ায়।
হায়,
নেই কেউ কুড়োবার!
অধিকার
নিয়েছো ফিরিয়ে কবেই, তাই, আমিও যাইনি সেথায়।
তীব্র ব্যথায়
বুক টনটন করে আছে।
পাছে
ভুল হয়ে যায়, তাই
দৌড়ে পালাই
অন্য পথে
কোনোমতে।


বটগাছ এক, নদীর পাড়েই বিশাল দেহের ভার লয়ে
ছায়ামূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ঠায়। নদীতে স্রোত যায় বয়ে
আমার মতোই।
আমিও চলেছি পথে; কষ্ট হোক না যতোই
জিরোবার নেই অবসর।
হেঁটে হেঁটে স্থির হয়ে একদিন নিশ্চয়ই একেবারে থেমে যাবো অতঃপর।


রচনাকাল: ঢাকা, ২১ অক্টোবর ২০১৯