তুমি যেনো বিস্ময়ে ভরা এক অপরূপা ছবি!
তোমার শরীরের বাঁকে বাঁকে সবি
শিল্পীর হাতে গড়া কারুকাজ।
ভাঁজ
খুলেনি এখনো যেনো নতুন শাড়ির;
আঁচলে রয়েছে ঢাকা সৌন্দর্য, শ্রেয়সী নারীর!
নয়নের তীর
অস্থির
হৃদয়ে বুঝি হানবে আঘাত এখনি;
কথা কয় দুচোখের মনি।
লাল গোলাপের পাঁপড়ির রঙে রাঙা ঠোঁটে
অস্ফুটে
ভালোবাসা আর মধুময় প্রেম দেয় হাতছানি।
কি জানি
আমার হৃদয়ে কেনো ঝড় উঠে!
মুখ ফোটে
তুমি বলো না কিছুই, তবু মনে হয়
আমার জন্যেই বুঝি দুলে উঠে তোমার হৃদয়।
জোয়ারের মতো গভীর সমুদ্র হতে প্রেম এসে
আমার হৃদয়ে নাচে, ভালোবেসে।
হরিণীর গ্রীবার মতো তোমার গ্রীবা আর হাতের আঙুল
নৃত্যের ছন্দে নাচে। অধীর ব্যাকুল
আমি বসে দেখি নীরব নিথর পাথরের মতো।
কতো
হাজার লক্ষ বছর প্রতীক্ষার শেষে তুমি এলে;
অমৃতধারা আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে দিলে ঢেলে।
তোমার মায়াময় রহস্যঘেরা হাসি,
আমি ভালোবাসি, বড়ো বেশি ভালোবাসি।


রচনাকাল: ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০১৯