ভোলানাথ ভোলা থেকে পশ্চিমে দিলো হাঁটা;
ইচ্ছে হয়েছে তার দেখে যাবে কুয়াকাটা।
খানিকটা পথ হেঁটে লঞ্চেতে কলাপাড়া;
কলাপাড়া বাঁকা কলা দেখে চোখ ছানাবড়া।
পাকা কলা খেয়ে দেখে রাজহাঁস ডিম পাড়ে-
সে ডিমের ওমলেটে দুপুরের খাওয়া সারে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে লুঙ্গিতে হাত মুঁছে।
চেয়ে দেখে গোলপাতা গাছ খাঁড়া-কূঁচকূঁচে।
গোলপাতা গাছ নাকি রসে টইটম্বুর।
জিবে পানি কোথা পাবে খাসা দই-ওম-গুড়।


তিন ফেরি পাড়ি দিয়ে নড়বড়ে গাড়ি চড়ে-
যাই হোক শেষমেশ কুয়াকাটা এসে পড়ে।
কুয়ার মতোই কাটা তবে ঠিক কুয়া নয়;
নীচেই সমুদ্র সূগভীর অতিশয়।
সাদা সাদা ফেনাময় ঢেউ কূলে আছড়ায়;
চারপাশ ভরে আছে কাদা-বালি-কাচড়ায়।
সৈকতে বসে দেখে সূর্যটা উঠে পূবে-
সেখানেই বসে থাকে- পশ্চিমে রবি ডুবে।
কী অবাক একই জা’গা-বেলা উঠে-বেলা ডুবে;
সারা রাত সৈকতে একা নাকি দোকা শোবে!
হাজার বছর ধরে একই কুয়া একই কাটা;
সকালে বিকালে রাতে একই বীচে পথহাঁটা।
তবে, মজা খালি গায়ে সমুদ্রে সাঁতরানো;
যতোই ডুব’ না কেন-পাবে নাকো তলা জেনো।


রচনাকাল: ঢাকা,২০ মার্চ ২০১২খ্রি.।