মানুষের আসায় থাকি,
মানুষ আসে;
নিয়ম গড়ে, নিয়ম ভাঙ্গে
বসবাসের অযোগ্য করে দেয়
প্রিয় বেচে থাকার, প্রিয় ভূমিটাকে।


বড় অপরাধী হয়ে যাই!


আমরাই তুলে এনেছি
এই পশুগুলো
মানুষের চেহারা দিয়ে;
তারপর অপেক্ষা করেছি
নেতৃত্বে নিয়ে আসার।


তাঁর পর
পশুগুলো পশু থাকে
দিনে দিনে
খসে পড়ে মানুষের
মুখোশ!


আমরা কেউই অবাক হই না;
ধরে নেই, এটাই নিয়ম, স্বাভাবিক।


ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় –
পশুগুলো পশু থেকে
হয়ে উঠে মহা পশু
তোয়াক্কা রাখে না কারও!


বড় অপরাধী হয়ে যাই।
ভীষণ, ভীষণ
অপরাধী হয়ে যাই।


এইতো সেদিন তিনি
বাম হাতের তিন আঙ্গুলে
সফেদ সাদা রুমাল ধরা,
ডান হাতটা তখনও
বেশ দামি চাদরে মোড়া।
প্রচণ্ড শীত!


তিনি এসেছেন গভীর রাতে
এক বিশাল টিভি বহর সাথে নিয়ে
শীত বস্র বিতরণ বলে কথা;


প্লাস লাইটের আলোর বন্যায়
হঠাৎ জ্বলে উঠল
সহস্র বস্রহারা চোখ,
ক্ষুদা কি প্রচণ্ড শীত?
বুজা গেল না!


এরা ছোটলোক! বাঁ হাতের
প্রথম দু আঙুলই যথার্থ হল
নেতা এগিয়ে যান গর্ব করে
ছোটলোকদের দিকে তাকাবেন?
মনে হল না!


কি হবে এতো করে?
শীতে বস্র দিচ্ছি...
এটাই তো বেশি!


বড় অপরাধী হয়ে যাই।


এই হৃদয়হীন নীচ দৈত্যকে
আমরাই দিয়েছি
মহা মানবের মুখোস;
জাতীয়তাবাদের মালিকানা!


সত্যিই বড় অপরাধী হয়ে যাই।


২০.০১.২০১১
ক্যানবেরা