দিনশেষে হেমাঙ্গী নর্তকীদল..
মোহভাঁজ ভেঙে ভেঙে নিজ্যেকে মেলে দেয় নিয়তির জোছ্নায়
নদীতে জোয়ার এলেই --
স্বপ্নের চিঠি নিয়ে উড়ে যায় হীরামন পাখি
ধূপের গন্ধে পোড়ে হরিণী চোথ !
মাঝে মাঝে মৃন্ময়ী ভাবনারা নিরাভরণ হয় ...
আঙিনার সবুজে বুনি অনুভূতির বীজ
নজরবন্দী বিবেকের তৎপরতায় .
অবাক বিষ্ময়ে দেখি সৌহার্দের সুনিপুন শিল্পকর্ম !
কেটে যায় অহমী আবেশ  অধোনত প্রেম নিয়ে
দেবিকা দর্শনে মাতে কালের দূত
আবেগের নদীতে ভাসে পৌরাণিক কষ্টগুলো ..
নদীও নারীর মতো সহানুভূতির বেনারসি পরে
যৌবনা অতীত ভেবে ভাটফুলে সাজ করে আপন মহিমায়
মাঝিহীন খেয়াঘাট ছুঁয়ে কখনো বসে থাকে নিশ্চুপ
আমিও ইচ্ছের বেপরোয়া স্রোতে ভিজি ;
শতরূপা সময়ের গেরস্থালি নিয়েই .
কিশোরি মধ্যাহ্নকে ধারণ করি বুকের ভেতর
ব্যস্ততায়- ব্যঞ্জনায় ঘুঙুর বিকেল হাসে .
অতিথি স্বপ্নকে ছুঁয়েই আমি হয়ে যাই পাহাড়ি ফুল
অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ ...কোন কিছুই আমার থাকেনা
বর্তমানের সুর-শ্রুতি নিয়ে পার হই নাগরিক নদী
...যে নদীতে লোকাচারের ঢেউ নেই ..আছে শুধু আবহমান সুন্দরের ধারা .
যা আমার আমিত্বকে করে বহমান !
প্রযুক্তি এগিয়ে যায় বিশ্বায়নের তাপদহে প্রকৃতি পোড়ে ।
জীবনের ক্যানভাসে আমি তবু আঁকি ...
শাশ্বত শুচিতার জলছবি !