আস্তে ধীরে আয় বৃষ্টি হয়নি পরা নোলক খানা
কোমড় জুড়ে জোড়া বিছা রইল পড়ে হাত বাজুটা
চঞ্চলতার জলের ধারায় ডাহুক নদী উছলে  ওঠে
বাদল দিনের গন্ধে মেতে বন ষোড়শী কদম ফোটে
সিল্কী সূতায় চলছি বুনে কোন সে রঙিন আশার চাদর
নির্ঘুম রাত একলা কাটে শরীর পোড়ায় স্মৃতির আদর!
মেঘ আকাশে লুকোচুরি বকের ডানায় স্বপ্ন ওড়ে
লক্ষ্মীমতি কন্যারে তুই বাধিস নে আর মায়ার ডোরে
নদীর ভেতর জোসনা খোয়াব জল রঙেতে আঁিকবুঁকি
ছন্নছাড়া মন ময়ূরী মেঘ ডিঙিয়ে দেয় সে উঁকি
কদম পাতায় জল রোদ্দুর নৌকো মাঝি প্রহর গোনে
ইলশে গুড়ি বিষ্টি মাথায় আসবে কি কেউ মৌন মনে?
বেভুল পথে গুল্ম  লতায় ঘর বেঁধেছে অচীন পাখি
অপেক্ষারই বার বেলাতে উদাস সুরে যায় সে ডাকি
হৃদপিন্ডে গভীর ক্ষত সতীন সিঁথি সিঁদুর রাঙা
বিষন্নতায় আজ কি শুধুই বর্ষা বিলাস স্বপ্ন ভাঙা!


উত্তরা, ঢাকা।