▪ ড. রাজুব ভৌমিকের 'আয়না সনেট' নিয়ে কিছু কথাঃ-


সমসাময়িক কবি ও লেখক ড. রাজুব ভৌমিক (১৯৮৮- বর্তমান) বাংলা সনেটের নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন।


তার 'আয়না সনেট' এবং '১০০ নির্বাচিত স্বতন্ত্র চতুর্দশপদী কবিতাবলী' বই দুটি বাংলা সাহিত্যে সনেটের নব দিগন্তের উন্মোচন করেছে। তার 'আয়না সনেট' ইতিমধ্যে দেশ বিদেশে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।


বিশ্ব মিডিয়ার 'সিএনএন-নিউজ১৮', 'ইয়াহু লাইফস্টাইল', 'দ্য ইন্টারন্যাশনাল বিজনেজ টাইমস', 'দ্য এশিয়ান এজ' ছাড়াও জনপ্রিয় সংবাদ-মাধ্যম 'দ্য স্টেটসম্যান', 'ফ্রি প্রেস জার্নাল'সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আয়না সনেটের সৃষ্টির পেছনে কবি রাজুব ভৌমিকের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


ড. রাজুব ভৌমিক বাংলা সনেটের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে ‘আয়না সনেট’ পদ্ধতির প্রচলন করেন। রাজুব ভৌমিকের আয়না সনেটে 'পলিনড্রম বা Palindrome পদ্ধতির প্রভাব পড়েছে।
এ বিষয়ে কবি নিজেই বলেছেনঃ
"আয়না সনেটের সাথে পলিনড্রম কবিতার সামান্য মিল আছে। পূর্বে পলিনড্রম বা Palindrome পদ্ধতিতে সাধারণ কবিতা লেখা হয়েছে। কিন্তু কখনো সনেট লেখা হয়নি। Henry Peacham র্সবপ্রথম ১৬৩৮ সালে পলিনড্রম পদ্ধতিতে লেখা তার বই The Truth of Our Times প্রকাশ করছেনে। চীনের বিখ্যাত কবি Su Hui সবচেয়ে জটিল একটি পলিনড্রম কবিতা লিখেছেন- তিনি একটিই পলিনড্রম কবিতা লিখেছেন কিন্তু এ পর্যন্ত, মনে হয় আমি ছাড়া আর কেউ পলিনড্রম সনেট লেখেনি। আশা করি আপনাদের এই কবিতাগুলো ভালো লাগবে।"


#আয়না সনেটের বিশেষত্বঃ


• আয়না সনেট লেখার পদ্ধতি একটু ভিন্ন ধরনের। আয়না সনেট- যে সনেটগুলো ডান দিক থেকে বামে কিংবা বাম দিক থেকে ডানে অর্থাৎ দুই দিক থেকেই পড়া যাবে। কতকগুলো আয়না সনেট আবার নিচের লাইন থেকে উপরের লাইন পর্যন্ত পড়া যাবে।


• এই কবিতাগুলোর অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে- প্রত্যেক কবিতার ভেতরে আরেকটি কবিতা আছে। এই কবিতাগুলো দুই দিক থেকেই চৌদ্দ অক্ষরের, চৌদ্দ লাইন বিশিষ্ট, ককখখ, গগঘঘ, ঙঙচচ, ছছ অন্ত্যমিল নিয়ে সাজানো।


•  আয়না সনেটগুলো সাধারণত পর্ব বিন্যাস রীতি মেনে চলে না।


• আয়না সনেটগুলো নিখুতভাবে চৌদ্দ লাইনে লেখা, প্রত্যেক সনেট চারটি লাইনের তিনটি স্তরে বিভক্ত এবং শেষের দুটি লাইনে সংক্ষিপ্ত-সার রয়েছে।


নিচের লাইনগুলো দেখা যাকঃ


পেতে শুধু অবহেলা জন্মায় গরিব;
২+২+৪+৩+৩=১৪
ক্ষেতে করে শ্রম বন্ধ্য, ফসলে মুনিব।
২+২+২+২+৩+৩=১৪


ডান দিক থেকে বামে পড়লে হবে-


গরিব জন্মায়, অবহলো শুধু পেতে;
৩+৩+৪+২+২= ১৪
মুনিব ফসলে, বন্ধ্য শ্রম করে ক্ষেতে।
৩+৩+২+২+২+২= ১৪


চরণগুলি দুই দিক থেকেই পড়া যাচ্ছে। ঠিক আয়নার মতো!


জীবনযাত্রার, চিন্তা, অভ্যাস ও রুচির ক্ষেত্রে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা এক বিরাট পরিবর্তন লক্ষ করছি প্রবাসী কবি রাজুব ভৌমিকের ‘আয়না সনেট’-এর এই চতুর্দশপদী কবিতাগুলোর মধ্যে।


প্রেমিক-প্রেমিকার পারস্পরিক কামনা-বাসনাতে সীমিত নয় রাজুবের কবিতা। তার কবিতা পাঠকের সামনে সত্যকে অনুসন্ধানের এবং উপলব্ধির অবিরাম ভালোবাসা। রাজুব ভৌমিকের কবিতা নতুন মানুষের জীবনে নতুন চাহিদা তৈরি এবং পরিপূর্ণ হওয়ার বারবার তাগিদ দেয়।


রাজুব ভৌমিক কবিতায় সমাজ-বাস্তবতা, শিল্পের সুন্দর-ষড়ৈশ্বর্য বয়ান ছাড়া তার কবিতায় সংকীর্ণ ও বোধহীনতা, সমাজের উদাসীনতা, প্রাপ্তির লোলুপতা, মেরুদ-হীনতা, দালালি মনোবৃত্তির তেমন কিছুই নেই।


রাজুব ভৌমিকের কবিতা প্রেম-ভালোবাসা, সমাজ বিপ্লবের, বিদ্রোহের, মনো-বিকাশের, রাষ্ট্র পরিবর্তনের হাতিয়ার হয়ে আমাদের চাহিদাকে শিল্পের নান্দনিক মোড়কে উপস্থাপন করেছে।


বিদেশে থাকলেও তার মন সব সময় পড়ে রয়েছে আমাদের এই বাংলায়। তার নিজের জন্মভূমিতে। বাংলাদেশে। জন্মভূমির মায়া তিনি কখনো ত্যাগ করতে পারেননি। বাংলার আকাশ-বাতাস, তেপান্তর, নীল জোছনা, কাশবন, ধানখেত, রৌদ্র-মেঘের লুকোচুরি, মুক্তিযুদ্ধ, অসহায় সমাজের কথা, ধনী-গরিবের কথা দেশের মানুষের সফলতা-অসফলতার কথা তার আয়না সনেটে ফুটে উঠেছে।


#রাজুব ভৌমিকের 'আয়না সনেট' এর দুটি সনেট উল্লেখ করা হলোঃ


★ ১.
এখন সময়, অন্বর্থ পড়াশুনার,
যৌবন নশ্বর, নির্বাহ করো শিখার;
শিক্ষায় ওজস্বিতা, সর্বলোকে তা কয়,
অধ্যবসায় জরুরি, হইতে অক্ষয়।


এখন সময়, তোর করিতে হুংকার,
যখন অনাচারে, ডুবে বঙ্গ-সংসার;
রাজপথে রক্তিত হও, দাও প্রস্তাব,
শপথে দৃঢ় হও, প্রতিবাদী স্বভাব।


এখন সময় নাহি, থাকিতে অলস,
উদ্ভাবন কর, গড়ো উজ্জ্বল দিবস;
আলোকচিত্রের পিছে, কাটাবেনা বেলা,
চরিত্রের গঠনে কভু করোনা হেলা।  


এখন সময়, তোর করিতে সংগ্রাম;
মিলন হবে সুখের, কাজে অবিরাম।


{এখন সময় (আয়না সনেট)/রাজুব ভৌমিক}
[অন্ত্যমিলঃ ককখখ, গগঘঘ, ঙঙচচ, ছছ]


★ ২.
স্বপনে স্বপনে, অন্তরজুড়ে সতত,
আজীবনে বয়ে, গঙ্গাধারা অবিরত;
সারি সারি গজারি, রূপ কত তোমারি,
কাছারি কুঁড়োঘর, শান্তির মহামারী।


ঘেষে কোল পাহাড়ের, শুয়ে চা-বাগান,
মেষে মাঠে মাঠে, মিশে ঘাসে অসমান;
কেহ নাহি জানে, কত জ্বলি অনুভবে,
দেহ মোর অন্যত্র, অশ্রু ঝরে নিরবে।


রূপালী মাছেরা, আনন্দে মাতায় নদী,
অলি গানে গানে, নাচে সানন্দে দ্রৌপদী;
সবুজ শ্যামল স্নিগ্ধতা, রূপসী বাংলা,
অবুজ মনখানি, নাহি বুঝে গো জ্বালা।


যতদিন না দেশে, ফিরে আসিব শেষে,
কঠিন মৃত্যু, বঙ্গচিন্তায় পরিশেষে।


{হৃদয়ে বাংলাদেশ (আয়না সনেট)/রাজুব ভৌমিক}
[অন্ত্যমিলঃ ককখখ, গগঘঘ, ঙঙচচ, ছছ]


   -----★★-----


#পরিশেষে কিছু কথাঃ-


সাধারণ কবিতা যেমন নদীর মতো নিত্য তার বাঁক বদলায়, গতি নেয় নতুন দিগন্তে, উপসাগর পাড়ি দিয়ে চলে যায় মহাসাগরে
তেমনি সনেট কবিতার ধারাও সব সময় তার দিক পরিবর্তন করে।
ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া সহ বিশ্বের সকল সাহিত্যের দিকে গভীর ভাবে নজর দিলে দেখা যাবে যে সনেটের ধারা সবসময়ই নতুন মোড় নিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেরই সাহিত্যিকগন সনেটের মধ্যে নতুনত্ব এনে সনেটকে নিয়ে গেছেন নব দিগন্তে। সনাতন রীতিকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছন অনেকে। বাংলা সাহিত্যের কোনো কবিই শুধু সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করে তার সব সনেট রচনা করেছেন এমন নজির পাওয়া কঠিন। প্রত্যেকেই সনেটে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের ছাপ ঢেলে দিয়েছেন। মাইকেল থেকে শুরু করে আজ অবধি সব কবিই বিভিন্ন অন্ত্যমিলে সনেট রচনা করছেন। শুধু রবীন্দ্রনাথের সনেটের দিকে তাকালেই দেখা যাবে তার সনেটপন্থী ৭৬ টি সনেটের মধ্যে সনেটের আদর্শে (পেত্রার্কীয়, শেক্সপীয়রীয় কিংবা অন্য সব সনাতন রীতি) লেখা সনেট সংখ্যা মাত্র ১৩ টি! তার মধ্যে খাঁটি পেত্রার্কীয় রীতিতে লেখা সনেট ২ টি এবং খাঁটি শেক্সপিয়রীয় রীতিতে লেখা সনেট ১১ টি। তার বাকি সনেটগুলো রচিত হয়েছে বিভিন্ন মিল বিন্যাসে।


এ থেকেই বোঝা যায় যে সনেট শুধু পেত্রার্কীয় বা শেক্সপীয়রীয় রীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এর রীতি পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। না জানি ভবিষ্যতে আমরা সনেটকে কোন পর্যায়ে দেখবো। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা সনেটের আরো নব নব রূপ বৈচিত্র্য দেখতো পাবো। তা সময়ের হাতেই ছেড়ে দিলাম। সনেটের ধারা অব্যাহত থাকুক সবসময়ই এই কামণায় করি।


সনেটের শাখা প্রশাখা সুবিশাল। আমি এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে সনেট সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি মনে করি আমার এ আলোচনা সনেট প্রেমীদের একটু হলেও কাজে আসবে। নব কবিদের সনেট সম্পর্কে কিছু জ্ঞান এবং তাদের সনেট রচনায় মনোনিবেশ করাতে পারলেই আমার এই আলোচনা সার্থক হবে।
আমার দশ পর্বের এই আলোচনা সাজাতে গিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন পুস্তক, প্রবন্ধ, পত্রিকা, ম্যাগাজিনের সহায়তা নিতে হয়েছে। নিচে এমন কিছু সহায়ক পঞ্জির তালিকা দেওয়া হলো।


★ তথ্য সহায়ক পঞ্জিঃ-


• A History of English literature — legouis and Gagamian.
• A History of English Prosody (Vol-01,02,03) —G. Saintsbury.
• A History of french literature — Gagamian.
• A History of Italian literature — E.H. Wilkings.
• A Short History of Italian literature — J.H. Whitfield.
• A Short History of french literature — Geoffrey Brereton.
• The French Renaissance in England — Sir Sidney Lee.
• The English sonnet — Patric Cruttwell.
• The English Sonnet — Enid Hemer.
• The Elizabethen Love Sonnet — J.W. Lever.
• William Shakespeare — Sir Sidney Lee.
• Shakespeare's Sonnets — Sir Sidney Lee.
• Shakespeare's Sonnets —A.L. Rowse.
• Spenserian Sonnet — Poet Collectives
• Million's Sonnets — E.A.J. Honigmenn.
• The sonnets of Jhon Milton — Mark Pattion.
• The sonnets of Milton — Jhon S. Smart.
• The Italian Element in Milton's Verse — F.T. Prince.
• Scorn Not The Sonnet — W. Wortsworth.
• The Early Italian Poets — D.G. Rossetti.
• The Poems of Gerard Manley Hopkins — W.H. Gardner and M.H. Mackenzie.
• The Curtal Sonnets of Gerard Manley Hopkins (Modern Language Notes)
• Rabindranath Tagore - "Personality" — Macmillan
• www.sonnet.ca
• Wikipedia.
• Banglapedia.
• Wikisource.


• দ্য সনেট অ্যান্ড দ্য মেজর ইংলিশ রোমান্টিক পোয়েটস — ড. অরুন্ধতী ভট্টাচার্য
• ইংরেজি সাহিত্যের আলোকধারা — শ্রী সুধাংশুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
• বাংলা কবিতার ছন্দ : উদ্ধৃতি সংগৃহীত, ছন্দ-পরিচিতি
• বাংলা সাহিত্যে সনেট — উত্তম দাশ
• সনেটের আলোকে মধুসূদন ও রবীন্দ্রনাথ — জগদীশ ভট্টাচার্য
• বাঙালা সাহিত্যের ইতিহাস (৪র্থ খন্ড) — ডঃ সুকুমার সেন
• রবীন্দ্র রচনাবলী — (পশ্চিমবঙ্গ সরকার)।
• বাংলা সাহিত্যে সনেট ফররুখ আহমদ : জীবন ও সাহিত্য, আবদুল মান্নান সৈয়দ, বাংলা একাডেমী
• বাংলা কাব্যে ফররুখ আহমদ : তাঁর শক্তি ও স্বাতন্ত্র্যের স্বরূপ— মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, ফররুখ একাডেমী, ঢাকা
• আধুনিক বাংলা সাহিত্য – মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
• বাংলা সনেটের রূপ ও রীতি (ছন্দ সমীক্ষণ) —  আবদুল কাদির
• সাহিত্যের রূপ- রীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ– কুন্তল চট্টোপাধ্যায়
• সাহিত্যের রূপরীতি কোষ — ড. অশোককুমার মিশ্র
• সাহিত্য ও সমালোচনার রূপ-রীতি– উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
• বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (সপ্তম খণ্ড)– অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
• শ্রুতি সাহিত্য – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়
• মধুসূদন রচনাবলীঃ কালেকটেড পয়েমস (হরফ প্রকাশনী)
• ইংরেজি সাহিত্যের রূপরেখা – গোপাল হালদার
• কবিতার ছন্দ – বাংলা একাডেমী (১৯৯৭- দ্বিতীয় সংস্করণ) মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিতব্য।
• চতুর্দশপদী কবিতাবলী — ডঃ ভবানীগোপাল স্যানাল
• চতুর্দশপদী কবিতাবলী — দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য
• চতুর্দশপদী কবিতাবলী — শক্তি চট্টোপাধ্যায়
• চতুর্দশপদী কবিতাবলী — মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• বিবিধ কাব্য — মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• কড়ি ও কোমল — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• চৈতালি — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• নৈবেদ্য — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• মানসী — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• সনেট পঞ্চাশৎ — প্রথম চৌধুরী
• পদচারণ — প্রমথ চৌধুরী
• রূপসী বাংলা — জীবনানন্দ দাশ
• ঝরা পালক — জীবনানন্দ দাশ
• ধুসর পান্ডুলিপি — জীবনানন্দ দাশ
• জীবন পথে — কামিনী রায়
• মুহুর্তের কবিতা — ফররুখ আহমদ
• সোনালি কাবিন — আল মাহমুদ
• খনার বর্ণনা-সনেট পঞ্চক — আল মাহমুদ
• তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ — বিষ্ণু দে
• আয়না সনেট — ডঃ রাজুব ভৌমিক


• দৈনিক নয়া দিগন্ত (প্রবন্ধ)
• দৈনিক অন্যদিগন্ত (প্রবন্ধ)
• দৈনিক যুগের আলো (প্রবন্ধ)
• দৈনিক ইনকিলাব (প্রবন্ধ)
• দৈনিক যুগান্তর (প্রবন্ধ)
• দৈনিক সংগ্রাম (প্রবন্ধ)
• দৈনিক পূর্বদেশ (প্রবন্ধ)
• দৈনিক সমকাল (প্রবন্ধ)
• জাগো নিউজ ২৪ (প্রবন্ধ)


-------★★___★★-------