লেখকের জীবনে, কলেজ লাইফে,
ঘটেছিল পরিচয় অধরার সাথে,
দুষ্টু মিষ্টি হাসি ভরা বালিকা সে।
অধরার বান্ধবী ছিলো প্রিয়ন্তী,
শিমুরানী, রিতু পারভীন আর -
সবচেয়ে প্রিয় রোদেলার মা।
লেখকের বুকের দুপাশে দুজনা,
ওরা হলো শান্ত বালক সবুজ -মেহেদী,
আর হৃদয় জুড়ে ছিলো এক জনা অধরা।
ডান বুকে সবুজ আর বামে মেহেদী,
ওদের মতো বন্ধু কোথাও আছে নাকি?
লেখকের বাজে চিন্তা ভুলে, চেয়েছে শুভ কামনা,
সেইতো আপণের মতো হয়ে উঠেছে এই দুজনা।
লেখক ফাইজলামির ছলে,
প্রিয়ন্তী কে বলেছে, পিচ্চি,
রাণী কে ডেকেছে দিদিমণি,
আর সেই প্রিয় মল্লিকা,
সেতো রোদেলার মা।
সবুজ ছিলো ক্লাসের ক্যাপ্টেন,
মেহেদী ছিলো ক্ষুদে প্রযুক্তিবিদ,
আর লেখকের পরম পাওয়া -
মেহেদীর থেকে প্রেম কবি উপাধি।
কলেজ লাইফে দ্বিতীয় পর্বে,
হয়েছিল চোখাচোখি তার সাথে,
তৃতীয় তে দিয়েছিলো প্রস্তাব সেল ফোনে,
প্রত্যুত্তরে বলেছিলো অধরা -
তার হৃদয়ে অন্য কারও নাম আছে লেখা।
তবুও তারা দিনে দিনে করেছে আলাপন,
মাধ্যম হাতের ঐ সেলফোন।
একের প্রয়োজনে অন্য দিয়েছে সাড়া,
লেখকের বুকে শুধু, অধরার জন্য ভালোবাসা ।
এভাবেই যায় কেটে কলেজের দিনগুলো,
ব্যস্ত হয়ে ওঠে আমাদের কর্ম ক্ষণ গুলো,
মাঝে মাঝে কথা হয়, মাধ্যম সেলফোনে,
প্রাণের বন্ধু মেহেদী আর সবুজের সাথে।
ফেসবুকে হঠাৎ এলে আলাপনে,
আলাপ হয় রাণী আর মল্লিকার সাথে,
প্রিয়ন্তী আর পারভীন নেই তো খবরে।
অধরার দেয়া সেই সেলফোন নম্বরে -
দিলে ফোন, নেই সংযোগ তাতে।
লেখকের সেই চিরচেনা ক্যম্পাস,
সেই বগুড়া পলিটেকনিক, সেইতো আছে,
আকাশ পানে মাথা তুলে দাড়িয়ে,
শ্রেণীকক্ষে আজও পাঠদান চলছে,
নতুন শতদল সেথায় ভীড় করছে,
শুধু সেই চেনা মুখগুলো গেছে হারিয়ে।
লেখক হতো না শান্ত তখনো,
ক্লাসে প্রবেশ করে যদি -
কারো সাথে কথা না বলতো।
সবাই ছিলো লেখকের কাছে প্রিয়,
লেখক তাদের কাছে কেমন তা জানেনা তো!
একই মেসে একই ঘরে থাকতো,
বন্ধু রুহুল, লেখকের সাথে,
নওগাঁর বাড়িতেই যেত বেশি সময়ে,
ফিরে আসতে করতো ঢের দেরী,
তবুও সে ছিলো লেখকের প্রিয় সাথী।
শান্ত ছেলে রাশেদ ছিলো ভালো,
ঈমানের কথা তার মুখেই মানাতো।
পাবনার ছেলে শাহাদাত, সে কই?
যার সাথে হয়েছিলো মন বিচ্ছেদ!
কই তারা নেই আজ কোনও খবরে।
ব্যস্ত জীবনে ওদের অভাবে,
লেখকের নেত্রে নেমে এলে রাত্রি,
ঝড়ে পড়ে লোনা জল নিমেষে।
সবুজ -মেহেদীর সাথে নিজে,
ভাগ করে নেয় সিক্ত বেদনা গুলোকে।
ওরা ছাড়া আর কে আছে !
ওরাই ছিলো ওরাই আছে,
লেখকের বুকের দু পাশে দু জনে।
সবচেয়ে অধরার না থাকা,
বাড়ায় শুধু হৃদয়ে শূন্যতা।
ক্ষণিক ভেবে যায় মনে পড়ে,
হয়তো ইন্দ্র নীলের বুকে শুয়ে,
আজ সে রঙিন. সপ্ন আঁকছে।
বগুড়া পলিটেকনিক সেইতো আছে,
নেই শুধু ১১-১২ সেশনের শতদল সেখানে,
কে কোথায় আছে, কে জানে?