কবিতা: আমায় একটু ছুঁয়ে দেবে?
কাব্য : না, তোকে ছোঁয়া যাবেনা।
কবিতা : আমায় ছুঁয়ে দিলে কী হবে?
কাব্য : তোকে ছোঁয়া না দিলেও হয়।
কবিতা : হুম, হয়
হৃদয়ে কাঁপন অনুভব হয়।
ছোঁয়া না দিলেও হয়।
কাব্য : তাহলে?
কবিতা : যখন খুব বেশি আবেগ ছুঁয়ে যায়,
ইচ্ছে করে তুমিও ছুঁয়ে দাও আমায়।
কাব্য : হ্যাঁ ছুঁয়ে দিলাম।
কবিতা : নিলাম তুলে ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়া,
শিশির ভেজা সরবরে অবগাহনে ধোঁয়া।
কাব্য : বুঝতে পারিনা কেনো এত ভালোবাসোস আমাকে?
কবিতা : কি হবে, কি হবেনা সে হিসেব করে কখনোই তোমায় ভাবিনা।
তোমার নাম মনে এলেই কেমন লাগে তা বুঝানোর ক্ষমতা আমার নেই,
ওটাকে ভালোবাসা বলে কি না আমি জানিনা।।
শুধু এতটুকু জানি একটা মুহূর্ত তুমি মনের আড়ালে নও।
কাব্য : তাই?
যদি তাই হবে তাহলে মাঝে মাঝে
আমাকে দূরে রাখিস কেনো?
কবিতা : কই দূরে রাখি?
আমিও তো অভিমানী
খুব বেশি অভিমান হলেই নীরব থাকি।
আর নীরবেই জ্বলে যাই একা।
কাব্য : আমি তো তোকে জ্বালাই না,
ভালোবাসি তাও প্রকাশ করিনা
নীরবতায় তোকে পাই।
কবিতা : হাহা তোমার মুখ থেকেই শুনতে হবে তুমি আমায় ভালোবাসো কিনা, সেটা আমি মানিনা।
আমি জানি তুমিও আমাকে অনেক ভালোবাসো,
আবার নিজেকে আড়ালে রাখো এজন্যই যে তুমি যদি প্রকাশ কর, আর তখন আমি যদি বদলে যাই,
তাই ইচ্ছে করেই দূরে রাখো।
কাব্য : হ্যাঁ তাই হয়তো,
আবার তাও না হতে পারে,
নিজেকে তো উৎসর্গ করেছি তোর নামে।
কবিতা : কেন এত ভালোবাসো তুমি আমাকে?
কাব্য : কই, আমি কি কখনো বলেছি
তোকে ভালোবাসি,
তবে তোকে ছাড়া আমার লেখা
কে বুঝবে কে দেখবে এটাই জানি।
কবিতা : হাহা সব কথা বলতে হয়না।
কাব্য : কেনো আমি তো আমার সব বলেছি,
তোকে ভালোবাসি না,
তবে তুই আমার একটা কিছু
আমার শরীরের হয়তো একটা অঙ্গ
নইলে আমার লেখার কালি।
কবিতা : হয়ত, আমার ধারণা ভুল
তবে আমার অনুভূতি ভুল নয়।
কাব্য : তুই বুঝোস না,
আর কোনদিন বুঝবি না,
আমার নীরবতা।
কবিতা : ওহ্ আচ্ছা।
কাব্য : কী বুঝলি?
কবিতা : তোমার নীরবতার মাঝেই ভালোবাসা থাকে, তুমি নিজের সাথে লড়াই কর,
তোমার মন এখন দুই ভাগে বিভক্ত দশবার তার কথা বলে একবার আমার কথা বলে, তুমি সেই সময়টা অনেক বেশি নীরব হয়ে যাও।
কাব্য : আমি নীরব হয়ে থাকি
আমার নিজের জন্য
নীরব আমাকে বেশি নীরব রাখে।
কবিতা : আমার কথা ঠিক হয়নি তাইতো?
কাব্য : হয়তো বা, নয়তো বা,
তবে তুই বুঝোস না
আমি কেনো নীরব থাকি আমি নিজেই জানিনা।
কবিতা : হা হা বেশ।
কাব্য : হাসিস কেন,দাঁত তো বেড় হয়ে এলো।
কবিতা: তুমি আছো তো।
কাব্য : আমি থাকলে কী হবে
আমি তো অনেক দূরে
দাঁতের পার্টি খুলতে পারবো না ঘুশি দিয়ে।
কবিতা : হা হা হা হা।
কাব্য : এত হাসিস কেনো রে তুই?
কবিতা : তুমি সামনে আসা অবধি দাঁত পরবে না।
কাব্য : হয়ছে অনেক।
কবিতা : কিছু হাসি জল লুকাতেও হাসতে হয়।
কাব্য : কেনো এখানে জল এলো কোথায় থেকে।
কবিতা : আমি যেমন তোমাকে বুঝিনা তুমিও ঠিক আমায় বোঝনা।
কাব্য : হয়তো বা, তবে একদিন ঠিকই বুঝবো দু'জনে ।
কথায় আছে না
পাওয়া ধন হারিয়ে ফেললে খুব কষ্ট হয় ।
কবিতা : আমি সেই কাঁচ যে হিরার মত চিকচিক করি,
কিন্তু আমি বিপদসংকেত যে কিনা কখনোই কারো কাজে আসিনা।
কাব্য : কে বল্লো কাজে আসিস না,
আমার লেখায় তো সব সময় আসিস।
কবিতা : তোমাকে ভালোবেসে
হয়ে ছিলাম কবি,
এখন আমি হয়ে গেছি
অচেনা এক ছবি।
কাব্য : তুই তো পাগলের পাগলী,
ভীষন নেশা ,যে নেশা সিগারেটের টানেও পাওয়া যায় না,
তবে শেষ একটা কথা বলি,
যদি বেঁচে থাকি
একদিন কাছে এসে তোকে বুকে জড়িয়ে নিবো।
সেদিন আমার প্রতি তোর আর কোন অভিযোগ থাকবে না,
সেদিন আমি আর নীরব হয়েও থাকবো না।।