একটা সময় ছিল
নির্ঘুম রাত জাগা গল্প ছিল তাতে,
পাশে বসে থাকা কবিতার আলো
নীল আকাশ যত দূর দেখা যেত
হাতে হাত রাখা ছিল ততো কাছে।


হঠাৎ করে গল্পের সেই রানী
কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলো
জোছনাতেও আর চাঁদের দেখা নেই,
কঠিন হয়ে গেলো
চাওয়া-পাওয়া ঈশ্বরের দরবারে।


তাঁরা গুলো উচ্চস্বরে বলতে থাকে
কবিতার দেখা নাই,
আকাশের চাঁদ কাঁদে
আমি স্পষ্টভাবে দেখতে পারছি
মেঘ জমাট বেঁধেছে।


চারটি টপ ছিল ফুলে ঘেরা ছাদের ঐ পাশে
এখন ছাদের কার্নিশটাও ফাঁকা রয়ে গেলো,
কেউ আর বসবে না সন্ধ্যা রাতে
চাঁদের হাসি মাখা মুখ দেখবে না কেউ।


আর কী মিল হবেনা কোন অজুহাতে
এলোমেলো আজ পুরো শহর।
ল্যাপটপের বোর্ডে আজ হাতের স্পর্শ নেই
শব্দগুলো কেঁদে কেঁদে বলে
কবিতা হারালো কোথায় কোন অজানা শহরে।