পত্রের শুরুতে জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা,
যত আবেগ আছে এই মনে
লিখলাম চিঠি তোমার তরে,
এখন বলো কেমন আছো,
অবশ্যই ভালো,বহু বছর পরে আজকে তোমার উদ্দেশ্য করে এই ডিজিটাল যুগেও আমি চিঠি লিখছি
তবে চিঠিটা ঐ নীল আকাশে উড়িয়ে দেবো,
যদি কখনো দক্ষিণা  বাতাসে তোমার উঠোনে
পৌছাতে পারে তাহলেই আমি স্বার্থক।।


অনেক ভেবেছি লিখবো চিঠি
সময় হয়ে উঠেনি, আজ একটু বসলাম কলম খাতা নিয়ে টেবিলে,অনেক কিছুই লেখার আছে,
তুমি আবার পড়তে পড়তে কেঁদে দিওনা।।
তুমি তো জানো তোমার চোখের জলের মূল্য আমার জীবন দিয়েও পরিশোধ করতে পারবো না।।
জানিনা ভালোবাসা কেমন,
তবে জানি আজও এই হৃদয়ে তুমি বেঁচে আছো,
বিধাতার কাছে তো একটি চাওয়া ছিল,
তোমাকে যেন আপন করে পাই,
পেয়েও ছিলাম
একপলকে এঁকে ছিলাম ভালোবাসার ঘর,
হয়তো বিধাতার মর্জি ছিল না বলেই
আজকে দু'জনে দুই প্রান্তে।।


তবে জেনো রেখো নীলাম্বরী
একদিন বিধাতার মর্জিতেই আমাদের আবার জন্ম হবে
আমরা দু'জন দু'জনাকে আবারো কাছে পাবো।।
বাগানের ফুলে প্রজাপতির মত আবারো উড়ে বেড়াবো,
দু'চোখে চার চোখ ভালোবাসার নেশায় ডুবে থাকবে
রাত দিন।।


তোমার মনে আছে আমাদের প্রথম দেখার কথা
আমি কিন্তু ভুলিনি আজও,ভুলা যায় না নীলাম্বরী,
আজ তোমার থেকে দূরে কেনো জানো,
কাছে থাকলে তো প্রথম দিনের মত
তোমাকে বুকে জরিয়ে ধরিয়ে কান্না করতে ইচ্ছে করবে
যা এখন আর সম্ভব নয়,
তাই বাস্তবতা থেকে একটু দূরে আছি,
তবে ভেবো না ভুলে গেছি,
তোমার সাথে কাটানো সময় দিনক্ষণ সব মনে আছে
রিমঝিম বৃষ্টিতে তোমার আঙ্গুলে পড়িয়ে দিয়েছিলাম আমার প্রথম ছোট্ট একটি উপহার।।


আচ্ছা বলতো আজও কি ভোর সকালে
বেলি ফুল গাছের নিচে, ফুল কুড়ানো অভ্যাস আছে তোমার,যে ফুল দিয়ে বিছানার উপরে আমার তোমার নাম লিখে রাখতে,
আমাদের নামের ফ্রেম বানাতে,
আমাকে লাভ ইউ নীল লিখে পাঠাতে।।


ভালো কথা ঐ নীল শাড়িটা কি আজও পড়ো তুমি
নাকি তাও তুলে রেখেছো আলমারিতে,
মাঝে মাঝে পড়বে কেমন।।


পড়লে তো আমি দেখতে পাবো না
কেমন লাগছে তোমাকে,
ঠিক একটা নীলপরীর মতন,
যদি কখনো সময় হয় একদিন পড়বে আর ইচ্ছেমতো কাঁদবে আমাকে ভেবে।।


তাহলে হয়তো বিধাতার একটু মন গলবে
খুব তারাতারি আমাদের নিয়ে
আবারো জন্ম দিবে।।


তুমি কি কখনো অনুভব করেছিলে
কত নামে ডেকেছি তোমাকে
কখনো মায়াবী, কখনো নীলপরী,
আবার কখনো নীলাম্বরী, রত্নের মত তুমি, তাই কখনো রত্না মনে করে।।
তোমার আমার স্মৃতিগুলো মনে পড়লে
আকাশে গর্জন দেখায়,তার বুকে মেঘ ধারণ করে রাখে,যদি আমার চোখ অশ্রু ঝড়ায় ঢেকে রাখবে বলে।


তুমি যখন নীল বলে ডাকতে
আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যেতো
শরীরের কাঁপনি থার্মোমিটারের মত বেড়ে উঠতো।।


কত রাত দিন গল্প করে কাটিয়েছি
এই সব আজ স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধানো,
হয়তো আর কখনো এজীবনে দেখা হবে না
রাত জেগে হবে না গল্প করা
তোমার অভিমান করা গালিও শুনা হবেনা।।
এই নীল, এই নীল বলে
আর কোনদিন ডাকও শুনবো না,
আমার সময় যে খুব অল্প
ভিতরটা কষ্টে কষ্টে যে আজ ঘা হয়ে গেছে।।


কখন যে চলে যাই বলা যায় না তো
তাই আজকে এই চিঠি লেখা
তোমাকে উদ্দেশ্যে করে।।


তুমি বলেছিলে নীল সিগারেট খেওনা
খেলে শরীর খারাপ করবে,
নীল তুমি এত এলোমেলো কেনো,
উওরে আমি বলেছিলাম
দেখো যদি ভাগ্যে আমাদের সাথে না থাকে
তুমি না থাকো, তাহলে এই সিগারেটের ধোঁয়াকে তোমার ভালোবাসা ভেবে নিশ্বাস নেবো।।


আর কি লেখবো সময় তো অনেক হলো
হাজার লিখলেও এই প্রেমের কাহিনী শেষ হবেনা,
তাই প্রিয়তমা অল্পতেই শেষ করে দেই,


বেশি কিছু লেখবো না,
যাওয়ার আগে তোমাকে একটা কথা বলে যাই,
(সত্যি আমার জীবনে, তোমার কাছ থেকে এত এত ভালোবাসা পাবো,
যা কখনো কল্পনা ও করতে পারিনি)


তবে তোমার সেই ডাক,
ভুলা যায় না আজও,
( নীল কোথায় তুমি)
( এই নীল)
( শুনো না আমি তোমায় ডাকছি)
(এই নীল,এই)


আর লিখবো না তাহলে তোমার দু'চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারবে না,
তুমি তোমার শরীরের যত্ন নিও
ঠিকঠাক মতো খাওয়াদাওয়া করো,
রাত জাগবেনা একদম
আমি আছি পাগলী
কোথায় যাবো,গেলেও তো থাকবো,
ঐ নীল আকাশের বুকে নীল হয়ে,
দিনের আলোতে, কখনো কখনো মেঘ হয়ে,
তোমাকে স্নান করিয়ে দিবো।।


তবে শেষ দুই লাইনে বলে যাই
আজও অনেক অনেক ভালোবাসি তোমায়
তোমার জন্যেই আগামীতে জন্ম নেয়া আমার।।


ইতি,
তুমি বিহীন আমি (নীল)!!


বিঃদ্রঃ(এটা প্রিয়তমার উদ্দেশ্য করা চিঠি,কিছু বাস্তবতা ও কাল্পনিক ভাবনা।।