জীবনের প্রথম লেখা-লেখি শুরু হয় কবিতা দিয়ে। এর আগে সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতাম। কিন্তু সে গুলো লেখা হয় নি।


যখন কবিতা লেখা শুরু করি তখন তিব্র আকাক্ষা ছিল যেন আমার কবিতা পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই আকাঙ্ক্ষা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। এখন বুঝি পাঠ্য বইয়ে নিজ কবিতা স্থান পাওয়া কত কঠিন ব্যাপার।


এখনও আকাঙ্ক্ষা আছে কিন্তু সে রকম নয়।


যখন যেটা লিখি সেটা নিয়ে এক বুক আশা অন্তরে বেঁধে যায়।  গল্প লিখি - মনে হয় যদি পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হত। গান লিখি - আহা যদি কোন শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াতে পারতাম। নাটক লিখি - যদি এটাকে অভিনয় করিয়ে ছোট পর্দায় দেখানো যেত। উপন্যাস লিখি - যদি হাজারো পাঠক পেতাম। ছড়া লিখি - এগুলো যদি সব সময় শিশুদের মুখে থাকত।


কিন্তু হায় কোনটাই সম্ভব হচ্ছে না। কেউ নেই হাতটি ধরে উপরে তোলার। একা একা কি উপরে উঠা যায়?  


চেষ্টা করলে সব সম্ভব তাই চেষ্টা করে যাই। যা মনে আসে তাই লিখে ভরে ফেলি ডাইরির পাতা। হয় তো  কারো কাছে নেই এগুলোর কোন মূল্য। কিন্তু আমার কাছে তো আছে। জীবনে হয়তো এমন ব্যক্তি আসবে আমার লেখা গুলোর মূল্য তিনি দিবেন।


অর্থ ছাড়া মানুষ কত মূল্যহীন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। অর্থ ছাড়া তো কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। দাঁড়ানো যাচ্ছে না কোন মানুষের কাছে। সময় যে কারো নেই। অসহায়ের মত ফ্যাকাসে মুখ খানা আর চোখ তুলে তাকাতে পারে না কারো দিকে।