দুপুর প্রায় ১টায় বের হয়েছি,
মনে মনে ভেবেছি—আজ বুঝি চলতে পারবো ঠিকঠাক।
মোহাম্মদপুর পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাজে ২টা,
রাস্তায় নেমেই দেখি—শহরের শ্বাস যেন ভারাক্রান্ত।

মানিক মিয়া এভিনিউ পার হতে গিয়ে
ইচ্ছে করল ইউ-টার্ন নেই,
কিন্তু সাহস হলো না—
এ শহরে সাহসকেও জ্যাম ঠেলে দেয় পেছনে।

খামারবাড়ি যেন একটা স্তব্ধ সময়ের দরজা,
সেখানেও থেমে থাকলাম না,
চলে গেলাম চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে,
সবুজের আশায়, একটু নিঃশ্বাসের আশায়—
কিন্তু ওখানেও ভয়াবহ অবস্থা,
গাছগুলোও যেন ক্লান্ত, বাতাস নেই, কেবল হর্ন আর ধোঁয়া।

বিজয় সরণী পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাজে প্রায় ৩টা,
জয় নেই কোথাও—শুধুই হেরে যাওয়া ক্লান্ত রোদের কাছে।
সিগনাল পার হয়ে ভাবলাম—মগবাজারে যাই,
তাও পারলাম না, শহরের ইচ্ছেতেই আজ বাঁধা।

হাতিরঝিলে ঢুকলাম,
জল আছে, কিন্তু শান্তি নেই,
এই শহর যেন নিজের ছায়াকেও চিনে না আজকাল।

নয়াটোলায় কোনোমতে গিয়ে দাঁড়িয়েছি,
বৃষ্টি পড়ছে—
আমি কেবল মাথাটা বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
ভিজছে আমার শহরের বুক।

বেশ মজা, না?
এই শহর জানে,
একটা রাস্তায় সমস্যা মানেই—
পুরো শরীরেই জ্যামের দাগ।

#কাব্য