.
.
সততা সততা করে
. . .....চেঁচালি জনম ভরে
. . ........বিনিময়ে কি-বা পেলি বল,
সততার কষাঘাতে
. .... মরলি তুই দিনে-রাতে
.......আড়ালে ফেললি শুধু অশ্রুজল।
.
.
তোর পাজরের তলে
. . .....দাউ দাউ করে জ্বলে
. . . ........ .দারুণ দারিদ্র্যতার চিতা,
পেটে খুব ক্ষুধা রেখে
. . ....আর মুখে লাজ মেখে
. ........ কত দেখাবিরে আদিখ্যিতা।
.
.
কটা পেলি জন্ম হতে
. . .....এ যাবত্‍ এ জগতে
. . ........তুই ভালো মানুষের দেখা,
না বুঝে ডাইনির কোলে
. . . ....ছেলে সঁপে যাস বলে
........সবি অভাগা এ কপালের লেখা।
.
.
ছুড়ে ফেল সৎ বাণী
....তা ধুয়ে কি খাবি পানি
........কত বলবো তোকে ধুরছাতা!
এ জগতে দেখে দেখে
........সব চুল গেছে পেকে
.......কেউ নয় ধোয়া তুলসী পাতা।
.
.
শোন তো উচিৎ কথা
.......পাস যদি পা রে ব্যথা
........কেউ বেজায় হয়তো বা হোক,
বলবো ক'জনের নাম
....সবাই তো নিমকহারাম
...................ঠগ ধরিবাজ প্রতারক।
.
.
ছুটছে সবে স্বার্থ করে
......বোকা স্বর্গে রইলি পড়ে
.............দেখবি দেখ তোর চারিধার,
সাপ হয়ে কাটে যেই
........ওঝা হয়ে ঝাড়ে সেই
...............সে মরে যে করে উপকার।
.
.
ডাহা মিথ্যার ও ফাঁদে
........সত্যরা কেবলি কাঁদে
.............মূল কথা একেবারে সোজা,
বল এ কাব্যে লেখি
.......বিনা লাভে দেখা দেখি
............কে শালা বয় তুলার বোঝা?
.
.
এ ধরার মাঝে হায়
......কার ভালো কে বা চায়
.............দেখছিস তা-তো অবিরত,
একটুকু স্বার্থের তরে
.........মানুষ কেমন করে
..................অমানুষে হয় পরিণত!
.
.
রচনাকালঃ 19 মাঘ 1418 বাংলা