শাহজাহান সিরাজ


আমি তাদেরই কথা বলছি
সেকালের সেই এক একটি মুখ-
একের ভিতর অন্যরকম জ্বলন্ত অগ্নির ফুটন্ত গোলপ হয়ে  
সূচনালগ্ন ইতিহাসের মহাকাব্যের কথা।
যাদের হাত ধরে রচিত এক একটি ইতিহাসের পাতা,
সবস্ব বিলিয়ে যাদের একনিষ্ঠ প্রয়াস- এক বিন্দু রক্ত থাকতে
আমার মাকে অন্যের হাতে সোপদ করব না।
যন্ত্রনার কারাগার থেকে মুক্ত করে, কুরে কুরে খাওয়া
কীটদের উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার ঐকান্তিক চেষ্টা- ‘ধন্য সেই ইতিহাসের পাতা’।
হে বিজয়,
তুমি আমার মায়ের কন্ঠে বলা রক্তাক্ত রণমালা।
রক্তের কালিতে লেখা নাম- আমার প্রাণের বাংলা।
যার তরে এত দুঃখ-কষ্ট, গ্লানি আর আত্মত্যাগ
কী হারিয়ে কী পেলাম; বিবেকের মানদন্ডের তারি
আত্মচিৎকার-‘তোমায় স্বাগতম’ ।
মুক্তিকামী মানুষ সদা জাগ্রত
বিদ্রোহীর কন্ঠের বিষফোঁড়ন,
কে দানে কারে? ’মানীর মান’ কে লুটিতে পারে?
ডিসেম্বর ফিরে ফিরে চাহে- প্রাণের স্পন্দনে;
স্মরিতে যারে কুচকাওয়াজ,
আনন্দ মিছিল-রক্তভেজা অশ্রুসজল
প্রাণের বলিদান । কে বা লুঠিবে তারে?
মোরা সদা প্রস্তুত –বাঙালি বিশুদ্ধ হাত, আর দু’নয়নের নজরে।
হে একাত্তরের চেতনার জীবন্ত বাণী,
বছরের সারা মাস সারা দিন ফিরিয়া আসুক হৃৎপটের গভীনে,
ঠাঁই নিয়ে জেগে থাকুক, চিরজীব্য অমরত্বের স্বাদ নিয়ে....।
হে ইতিহাসের জীবন্ত মুখ,
ত্রিশ লক্ষ বিবেকের আত্মচিৎকার,
নয় লক্ষ ইজ্জতের প্রাণ-গহীনের মূল্যায়ন;  
শ্রদ্ধাশীষ আসন নিয়ে ঠাই পেলে কামনার মন্দিরে...।
তুমি বেঁচে থাকবে- ‘আমাদের মুক্তির শৃঙ্খলে,
সফলতার গহ্বরে আরও সৃষ্টিশীল মনোভাবে সৃষ্টির দিশা হয়ে’...।  
যত অন্যায়-পাপাচার ভেদ করে, যার যা অধিকার আপন শক্তিবলে ‘ফিরে পাব’.।
বিজয়ের মাসে বিজয়ের বিজয়াঞ্জলী, বরণ করে দীক্ষায় আলোকিত করুক-
প্রতিটি বাঙালির বিশুদ্ধ কামনায়.....।