আর কত কাদাবি দুখিনীরে..
শোকের পরে শোকের ছায়ায় গেথেছে মালা
মাতৃবোধ বহে কষ্ট-প্রভাতির বক্ষে কত যে জ্বালা ?
বিনিময়ে দানে বজ্র-চাটুতা
মরার গাঙ্গের ভেসে চলে বক্রতা
জড় নায়ের কীবা মজার উপহাস ।
যে ফসল ফলে শহীদের দানে,
তারি নিয়ে নিষ্ঠুরতার কী মানে ?
পরগাছারূপী আচরন কর
গোড়াতেই পরবাস ।

কত রক্ত ঝরেছে রাজপথে,
ভেসেছি কত না কষ্ট-স্রোতে
তব গলেতে জ্বলে গো বৈদেশিক দাবানল ।
সব দিবসে সবার কন্ঠে শুনি,
(21-শে ফেব্রুয়ারি, 26-শে মার্চ, 16-ই ডিসেম্বর)
এমনি বিবেকহীন বুলি সদাই বুনি;
বাধে না মুখে-
নিঃসংকোচে নাড়ি আত্ম-বাহুবল।


কী পরিহাসে মর্যাদা করি,
আত্ম-অহমে গর্জে মরি;
সতীনের সাথে বাংলার বসবাস।
কানারে বুড়ো আঙ্গুল দেখালে
পাপ নাই, পূর্র্ণ না মেলে
যবে, স্ব-কীয়তার বনবাস।


কত জাতি এলো আর গেলো
মিশ্র জাতে চাষাবাদ হলো;
আপন মানরে বিলে চলি সদা,
আপনারে করি বিভাজন ।
কার মানরে জড়িয়ে ধরি,
শোকের কোলেতে লুকিয়ে মরি
‘আমি-তুমি’ তো এমনি আপন জন।
বিশ্বকাতারে তাল মিলাতে,
হীনমন্যতার দ্রোহে-
আত্মমিতালী ভেসে চলে স্রোতে,
এভাবেই বা কাটে কত কাল ।
পরের প্রস্রাব মাথায় ঢালি,
খেঁজুর রস ভেবে স্বাদের বুলি;
মিছে করি শুধু, রসের গাল ।


যদি
দুখিনীরে এমন- ‘দুখ দেবে’
কোলের পুত্র অনাদর পাবে
তবে, খেলো কেন গুণের ভলিবল ?
যোগ্য মান দিতে না পেলে,
তব কেন স্বপ্ন দেখালে ?
ফিরে চায় দুখিনী- তাঁর মিছিলে দাবী, বিদ্রোহী সেনাদল ।