কাটাঘেরা সৌরভি ফুলের রাজ্যে
তুমি অবাধ্য সন্তান।
দেহমনের ভালবাসা উজাড় করেও
ঝরে যাওয়া শুকনো পাতার ক্লান্ত মর্মর
ধ্বনিতে লালিত হলে, মায়াবন্ধি রসহীন প্রীতিতে........।
হায়! আফসোস
যাকে ঘিরে তাঁর ত্রিশে পদাপর্ণ
বন্ধুহীন জীবনের পথচলা- সেও আজ অচেনা।
বল, তব তাঁর স্থান কোথায়?
অবুঝের ভান্ড শূণ্য জেনেও ধূলিসাৎ পাকে
পা বাড়ালে- আত্মঘাতী র্নিবুঝের পরিবেশনে........।


তুমি না মানুষ, কেমনে পার ঝাড়তে অতিরঞ্জিত রাগ,
বিদ্বেষ, র্ঘণা আর অভিমান; জরাজীর্ণ
হৃদয়াঘাতে নির্বাসন হয়েও লুকালে
বিবেক বর্জিত কালো ঝাপসা অদৃশ্যে।


আর পারি না সহ্য করতে-
পারি না পোষ মানাতে,
হাত-আঁচলের সব বিলিয়ে দিয়েও
সর্বশান্ত সম্বলে- পারিনি আদরের ছায়াতলে আগলে রাখতে........।
ছন্নছাড়া পথে, ব্যর্থতায় কাতরাই-
অতল জলের গভীরে, নিপাত করি, সহজাত অন্তঃসত্ত্বাকে........
‘যে কিনা নিষ্পাপ, আলোক মালার গচ্ছিত তারকা,
নয়নের মনি, ‘সাত রাজার ধন’.....।


এতটুকু শিশু; তবুও, বিকাশের আত্মশক্তিকে বাড়নের কষাঘাতে
দাবিয়ে রাখি- ‘না’য়ের পাল্লায় তুলে,
চিন্তাশীল কল্পনাকে অঙ্কুরে নষ্ট করি,
শাসনের বেত্রাঘাতে.....।
উদ্বুদ্ধের শক্তি উদ্দীপনার করবে সোর্পদ করি,
ভীত-সস্ত্রস্ত জ্বালাময়ী দৃষ্টিকে এড়িয়ে চলি এ বেলার নির্ণয়ে।