কেন তব ভালো নই?
ভাবী যত বার।
মনে হয় যেন তব,
নইকো তোমার।
তোমার মনের মত
পারিনি চলতে।
সাধ্য যে নেই আমার,
পারিনি বলতে।
অভাব তাড়নে আমি,
যেন-দিশেহারা।
কেমনে বল গো ভালো;
যে কি-না আধমরা।
কৌশলে সমাধান,
কেমনে করি।
চৌদিকে বাধা দ্বার,
কায়দার পা ন’ ধরি।
অজানার ভূলে কভূ,
হাবুডুবু খাই।
যে দিকে তাকাই,
ফিরে-ঐ বটগাছে যাই।
কেমনে বল গো ভালো,
স্বার্থঘাতে রুখে স্বার্থন্বেষী।
আসল কথাটি কালো,
ওরে ও ভিনদেশী।
আত্মঘাতে বিষফোঁড়,
চাও যে সাবাসী।
মানুষ হয়ে মানুষেরি,
কর দোষের দোসী।
কত ফাটল ধরালে বল,
মাটির উত্তাপে।
অট্টহাস্যে মেজাজ জ্বলে,
বুঝ কী সে ভাবে।
মানুষ হয়ে মানুষেরে,
ভাব, নাচের পুতুল।
তুলার মত উড়াও মুখে,
নিজেরে ভাব ফুল।
খারাপ বলেও তারে,
কর ঘাটাঘাটি।
আপনরে দেবতা ভাব,
পড়ি বুঝি লুটি।
যে ডাক্তার জানে কভূ,
সর্বাঙ্গে কী আছে।
তবু তো মরণ আসে,
মরে আগে-মিছে।
আক্রোশের ফাঁদে ফেলে,
ভগবান ভূত।
সঠিকে তীর বিধলে,
নড়ে যায় জুঁত।
ন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা,
কেমনে মানি।
তাঁর দেওয়া এত নেয়ামত,
তব কিছু না জানি।
এক তরফা বিচারে,
ন’ তারে যাচি।
কেমনে বলি গো তারে,
কিসেতে বাঁচি।
সমালোচনার ফন্দি পাতে,
কাটে শুধু বেলা।
ভালো নই ভালো নয়,
চলে শুধু বলা।
এ মুখে সে মুখ করে,
নাচে ঢেউরাজ।
জনমত গড়ে উঠলে,
হাছিল হবে কাজ।
প্রকৃতির ডাকে যে পাখি,
নীরব থাকে।
বিধির বিধান এমন,
কেমনে তা টেকে।
তবুও নীরব যেন,
তেমনে থাকি।
যে পারে ঝাড়ুক তারে,
যা আছে যত বাকি।