এভাবেও তো ভালবাসা যায়,
যায় তো, না কি?


সারাদিন সারারাত মোবাইল ফোনে কথা না বলে, নিয়ম করে দিনে দু'বার খোঁজ নেয়া।


রিক্সার হুঁট তুলে জাপটে না ধরে,
হুঁট নামিয়ে হাতে হাত রেখে খোলা আকাশের স্নিগ্ধতায় ভালবাসার সুরভী ছড়ানো যায়।


নামি দামী রেস্তোরাঁর সোডিয়াম আলোয়, বিশেষ কেবিনে বিকৃত যৌনতায় না মেতে
কোন টং দোকানে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তুমুল ভালবাসার অনুভুতিতে গল্প জমানো যায়।


কোন পার্ক কিংবা চিড়িয়াখানার প্রাণীদের বিষ্টা মাখানো নোংরা প্রেমলীলায় না মেতে
এক টোংগা বাদাম হাতে দু'জন পাশাপাশি হেঁটে চলা যায় কয়েকশত মাইল।


প্রেমিকের দু:সময়ে সরকারি চাকুরীর জন্য অবাঞ্চিত চাপ প্রয়োগ না করে, তাকে সাহস জুগিয়ে, কাঁধে হাত রেখে যায় বলা- আমি আছি তো।


হাজার টাকার পাখি ড্রেসের বায়না না করে
পুরাতন জামায় লন্ড্রি মেরে, মুখে একরাস হাসি নিয়ে বলা যায়- ভালবাসি, পাশে আছি।


শত কষ্টের মাঝে, প্রিয়তমার চোখে নিজের নীড় খুঁজে প্রশান্তির শ্বাস নিয়ে বলা যায়- ভালবাসি, ভাল আছি।


বিশেষ দিনে কোটি টাকার পাঁজেরো গাড়িতে নিয়ে লং ড্রাইভে না গিয়ে,
বাইসাইকেলের রডে বসিয়ে পাশের গ্রামের রাস মেলায় চুড়ি ফিতা কিনে প্রেয়সী অর্ধাঙ্গিনীকে দেয়া যায় বিবাহ বার্ষিকীর অবাক করা উপহার।


ফাস্ট ফুডের হট ডগ, চিকেন বার্গার খাওয়াতে না পাড়ার অপরাধ বোধে আত্মহনন না করে,
সারাদিনের ঘাম ঝরানো টাকায় চার আনার তিলের খাঁজা ও দু'আনার বাতাসা নিয়ে প্রিয়তমার টোঁঠে চুমুর চিহ্ন একে বলা যায়- ভাল বাসি।
এভাবেও তো ভালবাসা যায়, যায় না কি?


কুড়িগ্রাম
১৬ মে ২০২০ইং
রাত্রি ১২.২৫ ঘটিকা।