একটা আঁধারময় গোপন গুহায় আমি এক পরিব্রাজক
আজকাল, পাথরের গায় জিওলজি প্রবাল খুঁজে যাই,
অনেক দ্বীপ আর দ্বীপপুঞ্জ রেখা লাল কাঁকড়ার গন্ধ
বন্ধ হয়ে আছে যেখানে দেয়াল ভরে শৈবাল খুবলে পেতে
একটুও শ্রম নাই, আমি জানিনা আমি সঠিক কী চাই, এই গুহাতে!


শুনেছি কয়লা খনিতে হীরক কণার গান
শোনা যেতে পারে, পঙ্কে পদ্ম ফোটে, একরাশি শালুকের মাঝে
পানকৌড়ি এসে খুঁটে নেয় পরাগের ঘ্রাণ,
আমি কী তাহলে এইসব ইতিহাস বৃত্তান্ত
খুঁজি পাথরে পাথরে, কোনো শ্যামল বর্ণালী জীবাশ্ম ছিলো কিনা
এই বিশ্বে, যার ঘ্রাণে একদিন এই পৃথিবীটা জন্মের আগেই
জলছবি এঁকেছিলো প্রাণে মনে মনে, সেটা কখন ঘটেছিল, শূন্যে কি এমন কোনো
পাথর আছে যেটা সেই মুহূর্তটা দেখেছে? যেটা বলতে পারে কেন
অরুন্ধতী নক্ষত্র এতো নিষ্প্রাণ বেহালা বাজায় বশিষ্ঠের কাছে !


মাঝে মাঝে সেখানে আমি এক প্রতিধ্বনি শুনি,
বেগুনী রশ্মি আঁকা অদৃশ্য কন্ঠ তাঁর,
সে বলে, মূর্খ তুমি, সময় মাপতে চাও হাত ঘড়িতে? পাথরের বুকে?
তুমি বলতে পারো সময়ের শুরু কোথায়? কোথায় তার উত্থান কোথায় পতন?
সময় কী একটা নদী যেটা কিনা শুরু হবে
বৈকাল হ্রদে আর শেষ হবে ভূমধ্য সাগরে?
সময় কী একটা নারী যাকে তুমি মেপে নিতে চাও শাড়ির দৈর্ঘ্য দিয়ে?
সে কি তোমায় বলেছিল সর্পিল খাঁদে তুমি আমায় খুঁজে নিও একদিন?
যেদিন বশিষ্ঠ চলে যাবে কৃষ্ণ গহ্বরে ?