একদিন উইলো তলায় বিস্মিত স্বচ্ছ জলের লেকের ধারে
পাথরে চন্দন ঘষে কালিদাস বলেছিল
কদম্ব শাখায় দুই পাতা আলতা পরে কেউ বসে আছে
তাকে প্রণাম করে গঙ্গায় নেয়ে আইস
তার সাথে প্রেম করিতে যেন যেওনাকো তুমি
খুব কদাকার কাব্য হবে সেটা, কলঙ্কিত হবে এই ভূমি !


ইতিহাস প্রতিহাস করে সময়ের রথ দ্রুত উড়ে যায়
বালিগঞ্জ থেকে গড়িয়াহাট রোডে, এইসব স্বপ্নের গীতিকা আজ মৃত সব
লেকের ডকের তলে কুমিরের মেহফিলে আমি ক্লারিনেট বাজাবো!
"উমম্, তাই বুঝি? তবে আমারও অনেক দূরত্বের গল্প শুনিয়ে
এ যুগের কালিদাস মহাশয় বানাবো তোমাকে! তাহলে শোনো,
ঢাকুরিয়া ব্রিজের থামের ফাঁটলে একদিন নাকি ইঁদুর বাহিনী লাগাতার
ধর্মঘট করেছিলো" !


আমি ভাবি আনন্দবাজারে তার হি হি হি
কিন্নরী জুম ছবি ছাঁপিয়ে দেই, আনমনা চুলে যেন হাওড়া ব্রিজের বাতাস
আর বেসামাল আঁচলে তার ঢাকা শহরের রমনা পার্কের আকাশ
প্রবেশ করেছে ইউক্যালিপ্টাস বার্ক, মৌচাকে শালবন মাধুরী এঁকে,
শ্যামলী সুনামি উঠেছে সুরমা নদীতে,
আহা সেলফোন জন্ম নেয় নি সেদিন অর্ধ শতাব্দী আগে, শ্যামলা কমলা ঠোঁটে
তার বকফুল হাসি, কুরুবক শাখা আলো করে লাল পারিজাতে ভেজা একরাশি
শিশির রশ্মি আঁকা গোলাকার চাঁদ যেন বেহালা আকার লয়ে শতরঞ্জ কি খেলাড়ি!


এক্ষুনি মোজার্ট ধ্বনি কলরোল শুনবে ওই উইলো বনের ঝুড়ি, বটবৃক্ষ নেই
তাই থ্যাঁতা লালফল রঙ বিহীন স্লিপার তার, তবুতো এই পৃথিবীটা ঘুরে যাবে
প্রতিদিন একই সাধে,
কারো মেরুন পাড়ে করুণ কোন দ্রোন ফুল লেগেছিলো কিনা
সেইসব মুহূর্তগুলো মুছে যাবে ইতিহাসে, কেউ জানবেনা একদিন রমনা পার্ক থেকে
ঢাকুরিয়া ব্রিজ তক একই সাথে সূর্যটা ডুবেছিলো মার্কিন দেশে
কোন এক অতিকায় হ্রদের মতো নির্জন জলাধারে,
আর এখনো কোন জানালার ধারে,
টেরাকোটা টবে পাতাবাহারে!