চন্দ্রের কলঙ্ক দেখতে হলে বেশি দূর যাবার প্রয়োজন নেই
সেটাকে নামিয়ে আনতে কোনো প্রকার বৈজ্ঞানিক
বুস্টার রকেট নিক্ষিপ্ত করতে হয়না, বরং অতি সহজেই
সেটাকে দেখা যেতে পারে এখানে সেখানে উদাসি ব্যালকনি
ভরা শালিক কি চড়ুই, বা মেহগিনি ডিভানে একাকী বিকেল
বিবর্ণ রোদের ফালি জানালায় নিরালা আকাশ ভেঙে
কনকেভ লেন্স হয়ে শুয়ে থাকে তরল বিতল সেইসব
উড়ে যাওয়া ময়ূরাক্ষী কবিতার পাতা ভরা
মিহি সব কলঙ্ক ট্যালকম জোনাকির পাখা মাখা
কিছুটা সোনালি কিছুটা মেহগিনি আর নীল শ্যামবর্ণ উঠোন তার,
পাতাবাহারের ভেজা পাতা আনমনা ওষ্ঠ নেড়ে
অজান্তেই বলে ফেলে
এই দেখো কেমন প্রতীক্ষা নিয়ে বসে আছি
এক সমুদ্র একান্ত এক ধুসরতম প্রদীপ জ্বালিয়ে
আসবে না কলঙ্ক কুড়োতে ?