বলোতো দেখি
কোথায় কোথায় লুকোনো আছে চেনা চেনা সব শব্দ
সজ্জিত কাটলারি সেটের পেছনে ঝলমলে শোকেসে ?
নাকি রাতের বেলায় এলোমেলো ঢিলে ড্রেসে চিরুনি কেশে
প্রবেশ নিষেধ সব পরিধি যেখানে শেষ হয়ে যায়,
স্তদ্ধ নির্জন আয়নায় ধূসর স্মৃতির জোয়ার ভাটায়?


আমি ভাবি একটা অন্যথা খুব সাধারণ দীঘল নদী কেমন করে
বয়ে যেতে পারে ঘাসের ওপরে তার পদছাপ না রেখে,
নয়বা
সিরামিক টাইলের গায়ে কিছু নতুন বা পুরাতন ঢেউ না তুলে !


কেমন করে যাবো ভুলে
এক হাজার মুখোশময় মুখের ভেতরে একটা মুখকে আমি চোখ বেঁধে
নির্দ্বিধায় ছুঁয়ে দিতে পারি এখনো কারো শ্যামলী রেণুর ঘ্রাণে,
প্রবীণ প্রাণের গোপন ফ্রিজে রাখা সব হীরের কণার শতচ্ছিদ্র নায়াগ্রা প্রপাত,
দেয় ভিজিয়ে এই জীবনের সব অলি গলি এক্সপ্রেসওয়ে টোল রোড বাইপাস
একটা মুহূর্তে ফসেটের মুখে কোনো এক ক্ষুদ্র জলবিন্দু বাস্প হয়ে
মেঘ থেকে বৃষ্টি অবারিত সিন্ধু হয়ে যায়
বুকের ভেতরে কেটে যেতে থাকে শঙ্খ করাত।


বলো, কোথায় রেখেছো তুমি এক শতাব্দী গান আর কথা
যথাক্রমে ড্রেসিং টেবিলে, পুরোনো সেই “বেটা ম্যাক্স” ফিতের গায়ে,
বলো, সব পত্রলেখা কোথায় একসাথে বেজে ওঠে কোমল গান্ধারে
রজনীর নির্জন একাকী আঁধারে?