হাজার বছর পর
কোনো বৈজ্ঞানিক টিম গভীর গুহার ভেতর
যে গুহা সাগরের তলা থেকে উঠে এসেছে
তাতে আণবিক আলোয় গ্যাসমাস্ক পরা
একজন পুরুষ আরেক জন মহিলা বিজ্ঞানীর
পরীক্ষা নিরীক্ষা!


গুহার পাষাণ কাটা হলো, কিছু সামুদ্রিক শামুক
শঙ্খ খোল, জেলি ফিস, প্রবাল রীফ কুঁচি, কিছু
অন্ধকারে আলো জ্বলা মাছ।
তাতে কিনা হাজার বছর হাফ লাইফ
তোমার ফসিল, ধিক ধিক, মশারির জাল, রেডিয়াম
জ্বলে নেভে।।


দুই বিজ্ঞানী অবাক, এই সারে পাঁচ ফুট মণি কোথাথেকে এলো?
এর প্রোফাইল কিছুইতো তেমনটা পেরিশ হয়নি এখনো,
এতো দেখছি একটা উওম্যানের নিবিড় শরীর ছাপ
পাথরের গায় অঙ্কন হয়ে আছে।


অঙ্কিতা হয়েছো তুমি, নিরুপমা তুমি, তুমি, হাতে বেগুনী বোগেনভিলা মুছে গিয়ে
কিছু রেণু এখনো লেগে আছে তোমার খোঁপায়,
তোমার সাধের তিব্বতি ব্যাগ, কিছু ভাঁজ করা আমার কবিতার ঝাপসা পাতা
যা কিনা তুমি একদিন "যাচ্ছে তাই বিশ্রী কবিতা" বলার পর
লিপষ্টিক দিয়ে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে
নিজের বুকের উপত্যকার ভাঁজে রেখে দিতে।


পুরুষ বিজ্ঞানী বলে, "দ্যাখো, হানি দ্যাখো দ্যাখো ওর ব্যাগে চিরকুট
ওর কোনো গবেট মেল মেট লিখেছে শ্রাবণী তুমি
শ্রাবণের বিলে ঝিলে সোনা ঝরা বিকেলের রোদ"


মহিলা বিজ্ঞানী গ্যাস মাস্ক খুলে বলে, "হোয়াট দ্য ফা ---,
বিল ঝিল সে কি জিনিস? কি এমন ছিলো ওই ফসিলের মেয়েটার মুখ?
কি এমন হাসি ছিলো ওর ঠোঁটে, যাতে কিনা শতেক নাপাম বোমা ফেলে যেতো
ওর সেই পুরুষের মনে?
ওঃ শিট, তুমি এখনো গ্যাস মাস্ক পরে আছো? খোলো ওটা,
ষ্টুপিড কোথাকার,
তাকাওতো আমার দিকে, ভালো করে, একবার,
দ্যাখোতো অমন কিছু মুখে আসে কিনা তোমার?"


তোমার ফসিল হাসে, বলে, ওটা হবে নাকো, ওটা কেবল হাজার
বছর আগে একজনই পারতো, তাঁর স্পর্শেই না
আমার হাফ লাইফ হাজার বছর!
ওরা অবাক, বলে, 'চলো, ওর ঐ মানুষটাকে আমরা খুঁজে বের করি"
পরে দুটো ফসিলকে এক করে দিই এই গুহার ভেতর! ----!