(ভার্সিটি টাওয়ারে দ্যাখো অতিকায় ঘড়ির কাঁটাদুটো সিঁড়ি বেয়ে
কিছু যুগ পেছনে চলে যায়,
ঝরা শিরিষেরা ঝাঁপ দিয়ে উঠে আসে গাছের পাতায়! তখন ......)


তোমাকে দেখেছি আমি ক্ষণে ক্ষণে নিবিড় উইলো বনে
গোধূলির রঙ থেকে ধনেখালি রং তুলে গাঙচিল এঁকেছি আমি
মেরুন জামায়, কান পেতে শুনেছি আমি কবিতার শব্দ তার
নিঃশ্বাস বাতাস গান গেয়ে সুনিপুণ বিভাজনে তেপান্তর হয়ে গেছে
লাল কমলা গাড় সবুজ ঘাসে ঝড়ের আকাশ
মেঘ নিয়ে নেমে এলো মুচড়ে দিলো সব শাদা কাশবন,
আমি শুনি তোমার সঘন আবৃত্তি, তার কবিতার স্তবক, আর ছত্র গুলোর
সব শব্দেরা শাদা বক হয়ে গেলো তোমার ওষ্ঠ নড়া
কন্ঠ ভরা লালাভ আদ্র শ্রাবণ শ্রবণে
ঘূর্ণি কণায় ভেঙে ভেঙে উড়ে গিয়ে অক্ষর বিছিন্ন করে এক প্রহর
শান্তি পেলো তোমার রেশম সম রেণুদের বনে, ... ... সমর্পণে!


সেখানে এখন তুমি টেনে নাও,
তুমি টেনে নাও সেই নিবিড় কবিতা ভাঙ্গার সাম্রাজ্যে,
কবিতা চাইনা আর, বরং কবিতার শব্দ ভাঙ্গার
শব্দ শুনিয়ে দাও প্লিজ এই কামনা আমার
রাখো তুমি শেষমেশ অক্ষর ভাঙ্গা ধূলোকণা
ছড়িয়ে দাও তোমার প্রাণের নিশব্দ বিজন ভেঙ্গে
প্লিজ, এখন এখন! অক্ষর ভাঙ্গা শব্দদের সব শব
জড়িয়ে দাও, শুভ্র শিফন কাফন... যখন তখন ... এখন এখন!