আমি এক নদীর পাড়ে মহাজনকে জানি, উনি কোনো খাঁজনা না চেয়ে
বাজনা বাজান এই পৃথিবীর সব উঠোনে, বংশী তাঁর
কখনো দুঃখ বেদনা কখনো উন্মাদনা
আমি কোন্ ভ্রান্ত "পথের মাঝে পথ হারালেম ব্রজে চলিতে
সেই মহাজন পারে বলিতে" --- গেরুয়া পোষাক তার নিমিষে
এক ফেল্ট হ্যাট সাহেব নয়বা ইরোটিকা মেম হয়ে যান শহরের মলে,
জলে স্থলে অবারিত বিচরণ তার ...কখনো মলিন কখনো ঝলমলে !


"এদেশ বিদেশ" আহামরি আশা করি এতো রাগ দুঃখ তার
সব আগুন ফাগুন হয়ে যাবে একদিন, এই মহাজন তুমি
কোনো উদ্যানে মন মাঝি হয়ে বৈঠা বেয়ে যাও,
কোন পাটাতন তলে তোমার মৎস্য গুদাম,
রুই কাতল মাগুর শিঙ বাজারের হালচাল দেখে এই মহাজন
রিলিজ করেন পাইকারি দরে, ঝাঁপি তার বেশুমার, চন্দ্রাবলীর কুঞ্জ
গলিতে তার পদধূলি; বৈশালী আম্রপালী আসেন ধীরজ পায়ে তাঁর
গ্রহ পুঞ্জ গ্রহান্তরে ; প্রণামী উনি গ্রহণ না করে বলেন বৎসল কণ্ঠস্বরে,
আহা শ্যামলী বৃদ্ধা সন্তান তুমি কিশোরী মুখোশ পরো, এক পেতল ঘটি
জল আর আলোর মিক্স ঢালো তুলসি তলায় ...!


আমি নির্বাক বিস্মিত হতভম্ব সম গোলাকার বৃহৎ চক্ষু আমার স্তদ্ধ
এমন এক সন্যাসে যাবো আমি একদিন যেখানে তাহার মতো
মহাজন পাওয়া যায়। যেখানে এমন এক পাথর হওয়া যায়
যে পাথর গলে যায় সামান্য উত্তাপে, জিওলজী বিজ্ঞানে!


জিওলজি জিওলজি দেখি আমি এক রাজকন্যার
চোখের তারায়, পৃথিবীর ভাঁড়ার ভরে কতো ইতিহাস বাঁধা আছে
এই দ্যাখো, মানুষের বানানো প্রাসাদ থরে থরে সজ্জিত সেই
পাথরের বুকে; তুমি কি তেমন কোনো পাথর হবে আমার নদীতে?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমার অজ্ঞাতবাস, হবো নাকি গলে যাবো
চন্দ্রাভাস নদীর ঘ্রাণে, প্রাণে প্রাণে সারাটা জীবন আলাপন?
একজন
শুধু একজন ...সেই মহাজন একদিন হয়তো "তথাস্তু" মায়ায়
উত্তরটা দেবেন আমায়!
ততোদিন ঝিনুক বোতাম হয়ে থাকবো আমি কারো বাসন্তী রঙের জামায়!