যেখানে দূরত্ব নেই কোনো, সেখানে কী
কারো আত্মা বাতাসে ভেসে বা জলে সাঁতার কেটে অনেক কাছে আসতে পারে?
একেবারে আত্মার ভেতরে? যেখানে দূরত্ব নেই কোনো? নিকট দূরত্ব কাহারে বলে?
একজন বারান্দার কার্নিশে কাত হয়ে এলিয়ে তার মেঘের মতো ভেজা
চুল ঝেড়ে ঝেড়ে জলকণা ছিটিয়ে ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয় সে এতো কাছে  
যে তাকে হাত বাড়ালেই স্পর্শ করা যেতে পারে। ---  ( নাকি যায় না?)


সজ্জিত তার অপরূপ আসা যাওয়া, পাশে থাকা
সমস্ত কিছু ধরাবাঁধা কর্তব্যের সুতোর টাইট করে বাঁধা প্রচন্ড শক্ত প্যাকেজ,
নিয়ম মাফিক সর্বস্ব রুটিন, সে অনেক মোহিনী, মোহিনীতর, মোহিনীতমা,
এক বিন্দু দূরত্ব নেই যে সে এতো কাছে, তবু ও অনেক দূর, সাঁতার কেটে
তার নিকটত্ব পাওয়া যায় না, তার চুলের সুঘ্রাণ ফেরারী এই আত্মার কাছে।


সকল দরজা জানালা বন্ধ তাঁর, সে তাঁর ঠিকানা পেলো না,
তার মনের গহনে দ্রাঘিমা নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ ভগ্নাংশ
অজ্ঞাত অনেক অনেক দিন!
একই ঘরের ভেতরে আরেকটা আলাদা ঠিকানা কেমন করে হয়?
আরেক সেট দরজা জানালা?
কোনো ডাক পিয়ন
কোনো চিঠি বা কবিতা তাঁর কাছে নিয়ে গেলোনা
কেননা জ্যামিতিক একফুট দূরত্বে নেই  তাহার সীমানা।


তাই, অপেক্ষা অপেক্ষা শুধু অপেক্ষা! কবে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস একটা পুষ্পিত পথে
যে পথে দূরত্ব নেই সেই সব অদৃশ্য অলীক সব অলি গলি রাজপথ সীমানা পেরিয়ে এসে হেসে
ভেসে উন্মোচিত উদ্ভাসিত হবে কবে কোনো এক বুভুক্ষ আত্মার ভেতরে?
সে যে অন্ধকারে অলীক একটা বন্ধ দরজার মেঝেতে অনেকদিন অপেক্ষায় বসে আছে!
কবে তার অজান্তের পাপের প্রায়শ্চিত্ত ক্ষতিপূরণ শেষ হবে?