কারো কারো অন্তরালে সমান্তরাল এক অলীক পৃথিবী
অন্যকোনো নীহারিকা থেকে শঙ্খ বাজায়, সেখানে
কোনো ঝড় ঝঞ্ঝা নেই, স্মৃতি নেই, নেই কোনো অতীত অঙ্কিত বাতি,
সেখানে সমস্যা নেই, সেখানে কোনো মাছরাঙ্গা হারায় না তার সাথী
কুমেরু সুমেরু বৃত্ত তার সীমানাবিহীন হাহাকারহীন ... !


এটুকু ভাবতে গিয়ে কেউ দেখে তার
সমান্তরাল সমুদ্র থেকে উঠে এলো এক অতিকায় তিমি,
স্ফুরিত জলের তুবড়ি ছড়িয়ে বলে
"হে বিভ্রান্ত পথিক চলো, তোমার সাথে কিছু ফারলং সাঁতরে
যাই; তোমার নিখাদ ক্লান্ত শ্রান্ত জলের হ্রদ থেকে কিছু স্মৃতি-বিষ তুলে নেবো শিস্
দিতে দিতে, তোমার অন্তরাল সমান্তরাল জলে বাস আমার, সেই জলে
তরল স্নিগ্ধা এক মিঠেল রূপসী শরীর মিশে আছে,
নীলাভ গলিত নীল আভা প্রভা তার, ঝিনুকে প্রবাল ঘষে
সে তোমার সব ব্যথা সারিয়ে দেবে, দেখে নিও
সেখানে যদি 'জল-শিস্' দিই তো গোধূলি মাখা মৃদু
মসলিন হাওয়া বয়ে যায় দূরের পাহাড়ে,"!


এই সেই সমান্তরাল অলীক পৃথিবী, চিরকাল কক্ষরেখা তার
পাশে পাশে চলতেই থাকে,
চলতেই থাকে, কারো কারো
জীবনের পথ বেয়ে মৃদু স্খলিত আঁচল তার, চন্দন ধোয়া
ধুপিয়ান সিল্ক শাড়ি যেন কোনো ঈশ্বরীর করতল "ভেবোনা,
সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, এই দ্যাখো আমি আছি পাশে...
নিদারুণ বন্ধু হয়ে ..."
এই বলে সে আবার অদৃশ্য হয়ে যায়,
আঁধারের গায়।