কোনো কোনো  ঝিলের জলে পদ্ম ফোটেনা;
কেউ কেউ আড়ালে আড়ালে
রাম গরুড়ের ছানা, পেছনের বেঞ্চে বসা
কোনোদিন কোনো কিছুতেই  ফার্স্ট কেন
লাস্টও হয়না। কেননা তারা
আমজনতার কাছে অদৃশ্য এবং অস্পৃশ্য,
এই জনগণমন প্রকাশ্য গুণময়
গুণমুগ্ধ পূজারী এই পৃথিবীতে
তাদের কারো চোখে পড়েনা ...


তাদের মাতা ছাড়া, কোনদিন কেউ বলেনা
"বাঃ বেশ সুন্দর হয়েছে বা লাগছে এটা",
সেটা যাই বা হোক না কেন
যেন তেন,
তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা।


তাদের ভাঁড়ার লাগাতার শূন্যতা আঁকে
ব্যরিকেড ভরা তেপান্তরে
মেঘ ভারি ভরা শাওনেরা
তৎক্ষণাৎ শুকিয়ে গিয়ে
গ্রীষ্মের প্রতীক্ষার শকুন হয়ে যায়
নদীর পাড়ের শ্মশানের বাঁকে!


তাদের কেউ কেউ
নিদারুণ গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুরে
কারো ঘামে ভেজা চশমার কাঁচে
আকাশ ভাঙতে দেখে
বুকে একটা সমগ্র
ভাঙা আকাশ খুদে রাখে
চিরটা জীবন।


শিরীষ তলায়
কারো শ্যামল কপালে
এক ফোঁটা ঘাম বিন্দু
একটুকরো ঝিনুক কুঁচি
মুক্তো কণিকা হয়ে
ঝলমল স্মৃতির গল্প গাঁথা
হয়ে যায় শিরায় শিরায়
তাতে ভেসে যায়
কারো চোখের পাতায়
চিরল শিরীষ!


তারা গাছে গাছে পাথরে পাথরে
সমস্ত পৃথিবী ভরে
তাদের অলীক প্রিয়ার শতেক নাম
আর সর্বনাম
লিখে রেখে যেতে চায়
আর
বিভিন্ন ছদ্মনামে
অনেক প্রমিত বানান
ভুল ভরা
ছন্দ বিহীন
অশুদ্ধ কবিতা
খাতার পাতায়!