আমার একমাত্র সন্তান যার চোখ দুটো তার মা’য়ের চোখের মতো,
নিঃসীম গভীর কালো, আমি যার সীমানা পাই নি কোনোদিন।
না ছেলের, না তার মা’য়ের ।


এমন একটা সময় ছিলো যখন সে খুব হাসি খুশি ছিল।
তখন সে হাসলে দেয়ালে টাঙ্গানো ঘড়ি, ছবি ছাবা ঝন্ ঝন্!
সে বদলে গেছে, এখন আর সে বেশী হাসেনা,
হয়ত কোনো শ্বেতাঙ্গিনী তাঁর বুক চিরে বিদীর্ণ করে গেছে;
ভেতরে থকথকে জখম নিয়ে সে শিকে ঝুলে আছে হয়তো বা, ঠিক জানিনা।


এ ব্যাপারে সে কিছু বলে না, তার মাকে ও না , ওটা নাকি তাঁর প্রাইভেসি
আজকাল পাহাড় নদী বন উপবন অলি গলি বেয়ে বেয়ে সে একা একা হাঁটে
এমন সব পথ দিয়ে যাদের কোনো সমাপ্তি নেই
পিঠে তাঁর রুক স্যাক!


সে মাঝে মাঝে গলফ্ খেলে বলটাকে হেলা ভরে
নিরুদ্দেশের দেশে পাঠিয়ে দেয়, সে ফিরেও তাকায় না ।
তার “ড্যাড” তাকে অনেক গল্প শোনাতো, শেহেরজাদি থেকে তিলোত্তমার
এখন সে গল্প কবিতা পড়েনা, পড়তে চায় প্রকৃতিকে


তার কোনো বই টই নেই
আছে তার বিচিত্র সব মেনুয়াল ১২ টি ভাষায়,
সে কেবল একটা ভাষা জানে, সেটা বাংলা নয়।
আমি তাঁকে আমার একটা স্বপ্নের নাম দিয়েছিলাম “পারিজাত”,
আমার পারিজাত এখন “প্যারি” হয়ে গেছে,
এখন আর
আমি তাকে চিনিনা!