বরং আমাকে ভাবো সুগভীর জাম বনে পরিত্যক্ত পুরনো প্রাসাদ
লৌহ কপাট ভাঙা
জড়া জীর্ণ
চুনা বালু খসা --- ধ্বসা প্লাষ্টার!


পেছনে বাঁধানো ঘাট – ভাঙ্গাচুড়া --- হাজারো ফাঁটল
সাপ খোপ, ঝোঁপঝাড়, অতিকায় বট,
সন্ধ্যা মালতি আর
তুলসি তলায় রাখা পেতলের ঘট !


শ্যাওলা পিছল সিঁড়ি, একাকার গোলাকার অন্ধকার দীঘি
যেখানে “গোপন জল ম্লান হয়ে হীরে হয় ফের”
সেখানে আমাকে খুঁজো, দেখো একা বসে আছি
শতেক বছর!


নয়বা থাকলে শুয়ে “সরোজিনী” হয়ে তুমি
সেই ভাঙ্গা সিঁড়ির ওপর
শতেক বাদুড় কিছু শব্দ করে উড়ে যাবে
রাতের আঁধারে কোনো পূর্ণিমার চাঁদ
গল্ গল্ ভেজাবে তোমাকে ।


এস্রাজে অশ্রু মুছে মিশ্র পিলু কেঁদে যাবে
আমার প্রাসাদে!
তারপর --- --- ---
সব কিছু অন্ধকার
ঝাড়বাতি নিভে গেলে
তোমার শরীর ফের কঙ্কাল হয়ে যাবে
শাড়ীর ভেতরে
ভূত প্রেত সরীসৃপ সব শব আসবে ফিরে
গভীর আঁধারে!


বরং তখন তুমি,
ভাবলে আমাকে সেই পুরোনো প্রাসাদ
শতেক বছর ধরে
তোমার অপেক্ষা নিয়ে বসে থাকা
গভীর অরণ্যে একা --- জড়া জীর্ণ ,
চুনা বালু খসা --- ধ্বসা প্লাষ্টার!