(ফ্লোরিডায় কানাডিয়ান গিজ)
একটি জলাধার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, রাজহংস তুমি দক্ষিণে এসো
শীতার্ত হলে, দেখবে আমি প্রতীক্ষায় বসে আছি, নিবিড় উষ্ণ জলে
তুমি সাঁতরাবে, শালুকের ঘ্রাণে বিঘোর হবে দিবস রজনী, শেষে
কিছু পাখালি ভেসে গেছে গুলির আঘাতে রক্ত রঙিন জল,
নিরাকার একাকার জলাধার ফলসা পালক বুকে নিয়ে … ছলাৎ ছলাৎ


(পদ্মার পাড়ে মাইল মাইল)
তিলক্ষেতের ধারে পাহাড় মতো ঢিবিটাতে একটা বক্র শাখা
অতিকায় কড়ই গাছ, নিস্তদ্ধ দুপুরে, পাতা ঝেড়ে কথা দিয়েছিলো,
ওমর আলী তুই, লাংগল টানা এক ষাঁড়ের মতো শক্ত জোয়ান বাপ,
তোর কেন এতো পিয়াস, এক অমাবস্যা গভীর রাতে আসিস
আমার নির্জনে, দেখবো কতো অন্ধকার তিল ভালোবাসতে পারিস
এক গাছা দড়ি হাতে, দেখিস আমি তোকে ঘুম পাড়িয়ে দেবো
তোর সজনী তিলের মতো, আমার ডালের ছায়া দ্যাখ্ পুকুরের জলে ঝুলন্ত
তোকে ছুঁয়ে দেবে; সেই ওমর আলী সত্যি এক রাতে ঝুলেছিলো
কড়ই গাছের ডালে, ওর বউ কেঁদেছিলো, আর পড়শীরা বলেছিল আহা, “বিধর্মী বিধবা
শিখা মল্লিক; বেগানা মাগি তুই খাইলি উহারে, এখন
আমাগো তিলে ক্ষ্যাতে লাংগল টানবো কে"? ব্যথিত তিলক্ষেত পদ্মাকে ডাকে, ওগো সই
খুলোনা তোমার ঘুংগুর, ওই বেগানা মাইয়া মানুষটার বুকের তিলের মতো
আমাদের কিছু তিল তুলে নাও তোমার নেশালি বুকে,
তারপরে বলো ... ... ছলাৎ ছলাৎ …


(অন্য কোনোদিন, অন্য কোনোখানে)
জলের আধারে একটা ধীরজ তাজমহল গড়বো আমরা
দুজনে, এই বলে একজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো অশ্রু লিখে
তুমি এসো বেগুনী বোগেনভিলার চাতালে, ব্যালকনি থেকে
এক ঝাঁক পায়রা উড়িয়ে দোবো, করতল ভরে এক সরোবর
তুমি নিয়ে এসো, যে লুকোনো কন্ঠতিল তুমি দেখতে চেয়েছিলে
সেটাকে ভাসিয়ে দোবো ওই সরোবরে, সেটা উছলে উঠে
বলবে … ছলাৎ ছলাৎ …


এক রাজহংস আর ওমর আলীর এদিক সেদিক দুদিক প্রতিশ্রুতি
সমাপ্তি পেয়েছে, দুঃখ হোক, কষ্ট হোক, আর যাই হোক, সব ভুলে গেছে!
বোগেনভিলার প্রতীক্ষা? --- সে এক অন্য বিজন পৃথিবী, বলে মর্মর
আকাশ ভরে এখনো একতাল ঝিঁঝিট রাগে বিরাজ করো
মহাগগনমাঝে, মঙ্গলালোকে ধ্বনি তোলো “সত্য সুন্দরো”।
-----------------------‍‍‍‍


"আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর : রাগ ঝিঁঝিটঃ তাল একতাল
============================
"মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে,
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে।।
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে "
============================
"করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে "