তোমার চতুরা বান্ধবী মালবিকা কি যেন বলেছিলো ঠিক মনে নেই,
তুমি নাকি কাউকে না বলে
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে বোলপুরে শান্তি কুড়োতে গেলেও যেতে পারো।
সে তার টানটান পাছাপেড়ে সুতি শাড়ি পরে আমাকে বেহালায়
চিকেন কাবাব কাগজি লেবু আর ঝাল লঙ্কা চেখে মেখে একাকার করে দিলো,
তার বিড়াল চোখের সাদাটে মেঘে তোমার চশমার কোনো আকাশ নেই,
আমি ভাবি এই মেয়ে কেমন করে তোমার প্রিয় সখী হল !


আমি জানি তার ঠিকানায় তোমাকে লেখা আমার সব বিবাগি পত্রগুলো
তার ব্যাগে রাবার ব্যান্ড আঁধারে বন্দী হয়ে আছে।
নিপুণা আলাপি, আমি বুঝেছি সে এক কণা ভূমি ছেঁড়ে দেবেনা
আমাকে তোমার ঠিকানা, একবার বলে শান্তি নিকেতনে পৌষ মেলা বসেছে
শালবনে মেঘ নেমেছে নাকি কৃষ্ণনগর থেকে চূর্ণী নদীর ধারে
পালতোলা নৌকা গিয়েছে; এই দ্যাখো, সে একবারও জলঙ্গির নাম
উচ্চারণ করলো না !


‘বিশ্বাস করুন, আমরা সবাই কিছুই জানিনা’, সে এমনি স্মার্ট যে
আমাকে গড়িয়াহাটের মোড়ে তিনবার বিক্রি করে ছয়বার কিনে আনতে পারে।
সে ফাইনালি বললো, 'রবি’দা আপনি কি জর্দা দিয়ে এক খিলি মিষ্টি পান খাবেন?'
পানপাতা বন্ধু তোমার, এই চতুরা নারী আমায় সারাটা বেলা কলকাতার
রাস্তার ধারের শপ থেকে কালোজিরা দেয়া বিশুদ্ধ ঘোল পান করালো
তোমার বান্ধবী অথচ তার শাড়িতে জলসিঁড়ি দূরে থাক কোন নদীর ঘ্রাণ নেই! *
--------------------------------
* রবিউল আমার লেখা একটা মিনি উপন্যাসের নায়ক, সে তার প্রেয়সীকে খুঁজতে গিয়েছে USA থেকে কলকাতা শহরে, তার প্রেয়সী হারিয়ে গেছে, সে খুঁজে পায়না তাকে, তাই তার একজন প্রিয় বান্ধবীর কাছ থেকে সে জানতে চেয়েছে কোথায় তাকে পাওয়া যেতে পারে! অথচ বান্ধবীটি চায় না যে ওদের দুজনের দেখা হোক। কবিতাটা সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা।