তাহার অশ্রুকণা, লবণাক্ত চন্দ্রে ভেজা, বিধ্বস্ত নগরী
বক্ষে আমার তার ব্যথিত পানশালা জানালা কপাট
খোলা, স্নিগ্ধ সে গভীর কুয়োর জল একাকী একাকী
জলজ মৃত্তিকার গন্ধ ভরা কৃষ্ণপক্ষ কম্পিত থর থর
নিঃসীম কালো শিরীষ পাপড়ি ঢাকা দুটো কালো শতদল


কথা নেই, শব্দ নেই, গান নেই, কবিতা নেই, শুধু জল
শুধুমাত্র নিরাকার অন্ধকার ঘুরে ঘুরে কথা বলা, কম্পিত
বুকে, শরীরে শরীরে এ কান্নার শেষ নেই, জিভ আমার সেই
সিক্ত স্নিগ্ধ করুণ লবণ স্বাদ মুছে দিতে চায়, বলে "তুমি যেও না, প্লিজ তুমি
যেওনা কাল চলে, এই দ্যাখো, আমি মুছে দিচ্ছি,
কন্ঠ ভরে নিচ্ছি সব ব্যথিত শ্রাবণ! প্লিজ প্লিজ!"


"এই, -- বাংলিশ বলবে না তুমি বলে দিলুম? তাহলে আর ফিরবো না,
কেন 'প্লিজে'র বাংলা কি? শেখোনি এখনো? ফিরে এসে না হয় হবে সেটা,
মাত্রতো একটা বছর!",
মুহূর্তে শ্রাবণ ঘন ব্যথিত অশ্রু আমার দূরত্বে চলে গ্যালো,
সেই ক্ষণে, সেই লগ্নে, কেন যেন মনেহলো, আমার
প্রেমের বাহুডোরে পৃথিবীর একমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠা শ্যামল রঙ রূপসী প্রেয়সী
মুখে তাঁর অশ্রু ভেজা বিদায়ের ব্যথিত সে ঠোঁট টেপা হাসি!
তারপর,
আর নেই, আর কিচ্ছু নেই, এই সেই শেষ স্পর্শ
"জল-ছলো-ছলো আঁখি মেঘে মেঘে।"
"বিদায়গোধূলি-খনে" তাঁর ,
"বেদনা জড়ায়ে আছে ঘাসে" --- --- --- নীরব বিমর্ষ।