একদিন, কোনো একদিন,
হয়তো তোমার বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া বেগুনী বোগেনভিলার
শেকড় এসে এডিশন রোডের টেরাকোটা টবের বাগানে
তন্ন তন্ন করে খুঁজবে তোমার শরীর ভেজা
‍‍‍একটা কবিতা।


জানো তুমি?
আমিও এতোদিন কোনোদিন খুঁজিনি তোমায় !
হ্যাঁ, তবে কবিতায় এসেছো তুমি বারবার এই বয়সে
সেটাতো দুঃখ নয়, কষ্ট নয়, বরং এক স্নিগ্ধ স্পর্শ
তোমার অলীক লম্বিত হাতের পাতায়!


তুমি ধরবে আমাকে?
শপিং মল আর টাইট জিন্স ছেড়ে ঘাই হরিণী হয়ে টোপ দেবে?
কনিফেরাস বন উন্মাদ শন শন ডগলাস ফার আটলান্টিক পাড়
উড়াল দিয়ে আলপাইন স্প্রুসেরা সব নামবে এসে রোলিং হিলস
উপত্যকার বন্দরে, তুমি কি সেটা জানো? সেখানে যে
এক নির্জন ধূসর প্রৌঢ় গ্রিজলি ভেজাল কস্তূরী মৃগনাভি থকথকে গন্ধ বিলাস দিয়ে
গন্ধমাদন চূর্ণ বিচূর্ণ করে ছড়িয়ে রেখেছে স্মোকি মাউন্টেন পাদদেশে ।।


তুমি হবে এক মুক্ত ঘাই হরিণী, দেখবে এসে
সাদা বার্চ বাকলে ধারালো নখড়ে কে এঁকে রেখেছে
একটা নামের অক্ষর সব বৃক্ষে বৃক্ষে তাঁর বৃদ্ধ বক্ষ জুড়ে
সেই নাম --- সর্ব ---- নাম।
সমুদ্র নাইবা হল, টেনিসি রিভারতো কৃষ্ণপক্ষে স্নান করে করে
শুক্লপক্ষে নেমে এসে ভেজা শরীর তার চন্দ্রালোকের রুপোলি
আলোয় বিছিয়ে দিতে পারে --!


জিওলজি দিয়ে
প্রস্তরে লেখা তুমি পড়ো?


বৃক্ষের বাকলে সব চেরা নখে আকঁজোক
ফসিলাইজড অ্যাম্বার আঠালো রেজিনে
বেদানা দানারা সব একে একে অলৌকিক প্রিজম হয়ে বেদনা রশ্মি কেটে যাবে
শতেক অঙ্কুশ নিরঙ্কুশ শঙ্খ করাত তোমার তমাল অন্ধকার কসমস ভেঙে ভুঙ্গে
ফিতে খুলে আলোকিত করে --- ইলাস্টিক স্ট্র্যাপ ছিন্ন করে
তোমার নরম হিলে লাল তিল সিক্ত করে দেবে,
লক্ষ হাজার রঙ তার মিনি-ভাইব্রেশান
ধুসরতম কপারহেড সর্পকে ডেকে এনে সে তার মণি খুঁজতে গিয়ে করবে সেই গান
তোমার ঢঙি ঢঙি রঙ চঙি উপত্যকার অলিগলি রাজপথ সনে
“হলুদ বনে বনে মোর নাকছাবিটি হারিয়ে গেছে সুখ নেইকো মনে”
বৈরী তুমি হও গোরি থোরি থোরি এ আঁধার হৃদয়ে মম
অনির্বাণ অনলকণা নক্ষত্র সম ‍‍‍ ---!!


সব দিন শেষ হলে, কুয়াশারা জড়াবে এসে অবশেষে
পাহাড়ের পদতলে,
এটাযে তুমিও জানো, সব দিন শেষ হলে আর
কোনো কথা থাকেনাকো পাথরের গায়ে,
সাদা বার্চের রক্ষিতা শরীর মুছে যায়,
ওক্ পাইনের বন
নির্জন
শূন্য থেকে শূন্যতর শুন্যতম টেনিসি রিভার
সে এক শুষ্ক বুক নিয়ে থাকবে শুয়ে!


কেবল থাকবে নাহয়
এক পুরোনো গ্রিজলির ধারালো নখ ওষ্ঠে ছুঁয়ে
কাছে বসে এক চিত্রা হরিণ।
চিরদীন চিরদিন পাতার ফসিলে!